গুয়াহাটি, ২৯ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : গত চার-পাঁচ দিনের বৃষ্টির ফরে চলতি বছরে অসমে এ নিয়ে চতুর্থবার বন্যার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এবারের বন্যায় রাজ্যে এখন পর্যন্ত ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতের ফলে গুয়াহাটিতেও ব্ৰহ্মপুত্ৰ নদের জলেরস্তর ক্ৰমশ বাড়ছে।
মঙ্গলবার আসাম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএসডিএমএ)-এর বুলেটিনে জানানো হয়েছে, গতকাল সোমবার সন্ধ্যার দিকে গুয়াহাটিতে জেলাশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন ব্ৰহ্মপুত্ৰের জলস্তর বিপদসীমা ৪৯.৬৮ থেকে মাত্ৰ ০.৪২ নীচে ছিল। অর্থাৎ এদিন নদের জলস্তর ৪৯.২৬ মিটার উপর দিয়ে প্ৰবাহিত হচ্ছিল। বুলেটিনে আরও জানানো হয়েছে, রাজ্যে চতুর্থবারের বন্যায় ৩.১৭ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্ৰস্ত হয়েছেন।
বন্যার কবলে পড়েছে ধেমাজি, লখিমপুর, মরিগাঁও, নগাঁও, মাজুলি, পশ্চিম কারবি আংলং, শিবসাগর, ডিব্ৰুগড়, তিনসুকিয়া জেলা। চলতি বন্যায় একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত চলতি বছরে এ পর্যন্ত বন্যায় ১১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্তত পক্ষে ২১৯টি গ্ৰাম বন্যার জলে প্লাবিত হয়েছে। নদী, পথঘাট, চাষের খেত, যেদিকে তাকানো যায় সর্বত্ৰ জল থই থই। লকডাউনের ধাক্কা সামলাতে না-সামলাতে বন্যায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ।
গুয়াহাটি মহানগরের সেন্ট্ৰাল ওয়াটার কমিশনের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, অতিবৃষ্টি এবং কিছু কিছু এলাকায় নদীর স্লুইস গেট খুলে দেওয়ার দরুন গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ব্রহ্মপুত্র নদের জলস্তর ক্ৰমশ বাড়ছে। জলের স্তর আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, গত জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে অগাস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত অসমের প্রায় ৩০টি জেলা বন্যার কবলে পড়েছিল। টানা একমাসের বন্যায় বিস্তর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।