নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ সেপ্ঢেম্বর৷৷ ডম্বুর জলাশয় দেশের পর্যটন মানচিত্রে একটি অন্যতম আকর্ষণীয় কেন্দ্র৷ এই জলাশয়ে অবস্থিত নারকেল কুঞ্জকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে ত্রিপুরা সরকার৷ রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পর্যটন উন্নয়ন নিগম কাজ করছে৷ ডম্বুর সহ রাজ্যের অন্যান্য ঐতিহাসিক পর্যটন কেন্দ্রগুলির সৌন্দর্যায়ন বৃদ্ধির মাধ্যমে সেখানকার মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নেও গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে রাজ্য সরকার৷ সোমবার করবুক মহকুমার ডম্বুর জলাশয়ের মন্দিরঘাটে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে ওয়াটার সুকটার পরিষেবা চালু করে এ-কথা বলেন পর্যটন মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায়৷
আজক এ উপলক্ষ্যা মন্দিরঘাটে একটি সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷ অনুষ্ঠানে পর্যটনমন্ত্রী বলেন, এই বছরের ওয়ার্ল ট্যুরিজম ডে-র থিম হচ্ছে ট্যুরিজম অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট৷ এই থিমকে সামনে রেখে রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় অবস্থিত ডম্বুর জলাশয়কে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে ওয়াটার সুকটার পরিষেবা চালু করা হয়েছে৷ তিনি বলেন, দেশ বিদেশের বিভিন্ন পর্যটন ক্ষেত্রগুলিতে এই ওয়াটার সুকটার দেখা যায়৷ কিন্তু রাজ্যে এ ধরনের পরিষেবা আগে কখনও ছিল না৷
পর্যটন মন্ত্রী বলেন, সরকার পর্যটকদের ডম্বুর জলাশয়ে আনন্দ উপভোগ করার জন্য এই পরিষেবাকে অন্তর্ভুক্ত করেছে৷ এছাড়া মন্ত্রী বলেন, বয়স্ক ও বাচ্চাদের কথা মাথায় রেখে নৌকায় উঠার ক্ষেত্রে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্য দুটি ভাসমান জেটি নৌঘাটে বসানো হয়েছে৷ তিনি বলেন, নারকেলকুঞ্জের অনেকটা সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে৷ আগামীদিনে নারকেলকুঞ্জে পর্যটকদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে৷ নারকেলকুঞ্জের সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি করার জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন প্রকারের নারকেলের চারা রোপণ করা হবে৷ এছাড়া খুব শীঘ্রই মন্দিরঘাট এলাকায় পর্যটকদের সুবিধার্থে একটি হেলিপ্যাড তৈরি করা হবে৷ তিনি বলেন, শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীদের টুরিস্ট গাইড হিসেবে গড়ে তোলার জন্য দপ্তর থেকে ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে তারা আত্মনির্ভর হতে পারেন৷
অনুষ্ঠানে পর্যটন দফতরের সচিব কিরণ গিত্যে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার মিলে রাজ্যের প্রত্যেকটি পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে মোস্ট অ্যাট্রাক্টিভ ডেস্টিনেশন হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে৷ তিনি বলেন, আগামীদিনে অমরপুর ছবিমুড়া থেকে ডম্বুর জলাশয় পর্যন্ত একটি টুরিস্ট সার্কিট বানানোর পরিকল্পনা চলছে যাতে দেশ বিদেশের পর্যটকরা উদয়পুর মাতাবাড়ি হয়ে ছবিমুড়া এবং ডম্বুর জলাশয়ের নারকেলকুঞ্জ একসাথে ভ্রমণ করতে পারেন৷ তার প্রচেষ্টা চলছে৷ অনুষ্ঠানে করবুকের মহকুমাশাসক ডম্বুর জলাশয়ে পর্যটকদের সুবিধা প্রদানে কী কী করা যায় সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখা হবে বলে জানান৷ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য পেশ করেছেন পর্যটন দফতরের অধিকর্তা রাভেল হেমেন্দ্র কুমার৷ তিনি স্বদেশ দর্শন স্কিমে নারকেলকুঞ্জে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের উল্লেখ করেন এবং সোসাইটির সহায়তা কামনা করেন৷ অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুখছড়ি এডিসি ভিলেজের চেয়ারম্যান রঙ্গমালা চাকমা৷ অনুষ্ঠান শেষে অতিথিগণ ওয়াটার সুকটারে ডম্বুর জলাশয় ভ্রমণ করেন৷

