নয়াদিল্লি, ২৬ সেপ্টেম্বর (হি. স.): চলতি বছরের শেষের দিকে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। এর ঠিক পরের বছরেই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে সর্বভারতীয় স্তরে দলীয় সাংগঠনিক রদবদল হল বিজেপিতে। বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হল কর্ণাটকের তরুণ সংসদ তেজস্বী সূর্যকে। এই তরুণ তুর্কি রাজনীতিবিদের বাগ্মিতায় ইতিমধ্যেই মুগ্ধ নেটিজেনরা। তার যুক্তিনির্ভর বক্তব্যের প্রশংসায় পঞ্চমুখ আসমুদ্র হিমাচল। দলের কিষাণ মোর্চার সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হল রাজকুমার চাহারকে। জাতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদে বসানো হল ভূপেন্দ্র যাদব, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সিটি রবি। শনিবার দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডা বিজেপির বিভিন্ন সর্বভারতীয় পদে দায়িত্বপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন।
বিজেপির সহ-সভাপতি দায়িত্ব দেওয়া হলো রমন সিং, মুকুল রায়, অন্নপূর্ণা দেবী, বৈজন্ত জয় পান্ডা, রঘুবর দাস, বসুন্ধরা রাজে, রাধা মোহন সিং। উল্লেখ করা যেতে পারে বসুন্ধরা রাজে, রমন সিং আগেও সহ-সভাপতি পদে ছিলেন। তাদেরকে পুনরায় সেই দায়িত্ব দেওয়া হল। পশ্চিমবঙ্গ এবং বিহার বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে সহ-সভাপতি পদে মুকুল রায় এবং রাধামোহন সিংকে আনা হল। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার প্রায় আট মাস পর সাংগঠনিক রদবদল করলেন জগত প্রকাশ। রদবদলের ফলে বিজেপির সর্বভারতীয় পদগুলির থেকে বাদ পড়েছে রাম মাধব, অনিল জৈন, সরোজ পান্ডে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে এদেরকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় নিয়ে নেওয়া হবে। হয়তো শীঘ্রই মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রদবদলের ফলে সাংগঠনিক পদ থেকে বাদ দিয়েছে দলের বর্ষিয়ান নেতা নেত্রীদের নাম। এদের মধ্যে রয়েছেন উমা ভারতী, ওম মাথুর, প্রভাত ঝা, বিনয় সহস্র বুদ্ধি, শ্যাম জাজু, আবিনাশ রায় খান্না।
দলেন নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি জানিয়েছেন আত্মত্যাগী এবং নিষ্ঠা সহকারে জনসেবার যে গরিমাময় ঐতিহ্য দলের রয়েছে তাকে বহন করে যাবে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। গরিব এবং প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষের ক্ষমতায়নের জন্য আরও কঠোর পরিশ্রম করে যেতে হবে।