নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ সেপ্ঢেম্বর৷৷ চিকিৎসায় গাফিলতিতেই আইনজীবী ভাস্কর দেবরায়েরে মৃত্যু হয়েছিল৷ রাজ্য সরকারের গঠিত ডেথ অডিট টিমের রিপোর্টে একথা প্রমাণিত হয়েছে বলে দাবি করেন আইনজীবী পুলক সাহা৷ আজ ত্রিপুরা হাইকোর্টে আইনজীবী ভাস্কর দেবরায় মৃত্যুর ঘটনায় জনস্বার্থ মামলায় শুনানিতে ওই তথ্য উঠে এসেছে৷ পুলকবাবু জানিয়েছেন, চিকিৎসায় গাফিলতির পাশাপাশি জিবি হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারের পরিকাঠামোর যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে৷ ডেথ অডিট টিম রিপোর্টে সেই কথাও উল্লেখ করেছে৷ আগামী সোমবার এই মামলায় পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করেছে আদালত৷ ওইদিন তদন্তকারী অফিসারের কাছে মামলার গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে উচ্চ আদালত৷
প্রসঙ্গত, গত সাত মার্চ রাতে আইনজীবী ভাস্কর দেবরায়কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ধলেশ্বরের এক রাস্তা থেকে উদ্ধার করে দমকল বাহিনীর কর্মীরা জিবি হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভর্তি করেন৷ কিন্তু, রাত তিনটা পর্যন্ত তাঁর কোন চিকিৎসা না হওয়ায় যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে ভাস্কর দেবরায়ের মৃত্যু হয়৷ আইনজীবী পুরুষোত্তম রায়বর্মন জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ভাস্করের দেহে সতেরটি বাহ্যিক আঘাতের প্রমাণ রয়েছে৷ এছাড়াও শরীরের অভ্যন্তরেও আঘাত ছিল বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে৷ তিনি বলেন, ভাস্করের মৃত্যুর ঘটনায় ত্রিপুরা হাইাকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল৷ রাজ্য সরকার তাঁর মৃত্যুর তদন্তে ডেথ অডিট টিম গঠন করেছিল৷ ওই টিমে আগরতলা সরকারি মেডিকেল কলেজের একজন সহকারী অধ্যাপক এবং চারজন চিকিৎসক ও আইজিএমের একজন চিকিৎসক ছিলেন৷ তাঁরা তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন৷ ওই রিপোর্টে ভাস্করের মৃত্যু চিকিৎসায় গাফিলতিতে হয়েছে, তা উল্লেখ রয়েছে৷
মামলাকারী আইনজীবী পুলক সাহা বলেন, ভাস্কর দেবরায়ের মৃত্যুতে এনসিসি থানা এফআইআর নিতে রাজি হয়নি৷ তাই পুলিশ সদর দপ্তরে আইনজীবীরা ভাস্করের মৃতদেহ নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন৷ ওইদিন রাতে মুখ্য বিচার বিভাগীয় মেজিস্ট্রেটের নির্দেশে পুলিশ এফআইআর নিতে বাধ্য হয়৷ এরপরই ত্রিপুরা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল৷ তিনি বলেন, ডেথ অডিট রিপোর্টে চিকিৎসায় গাফিলিত এবং ট্রমা কেয়ার সেন্টারের পরিকাঠামোর ঘাটতির স্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে৷ আগামী সোমবার ওই মামলায় পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করেছে উচ্চ আদালত৷

