নয়াদিল্লি, ২১ সেপ্টেম্বর (হি.স.): কৃষি বিল নিয়ে এই মুহূর্তে ক্ষোভে ফুঁসছে বিরোধীরা। কৃষকরাও কৃষি বিলের বিরোধিতা করছেন। যদিও, কৃষকদের আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘সমস্ত কৃষকদের আমি আশ্বস্ত করতে চাই, আগের মতোই চলবে নূন্যতম সহায়ক মূল্য ব্যবস্থা।’ কৃষি বিল প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই আইনের সৌজন্যে যে কোনও স্থানে অবাধে উৎপাদিত পণ্য নিয়ে যেতে পারবেন কৃষকরা। সোমবার ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বিহারে ন’টি হাইওয়ে প্রকল্পের শিল্যানাস করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারও। এদিন শুরুতেই কৃষি বিল নিয়ে, রবিবার রাজ্যসভায় যে অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছিল, সে বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নীতিশ কুমার। তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমাদের মতামত প্রদর্শনের ভিন্ন উপায় রয়েছে, সংসদে পাশ হওয়া কৃষি বিল কৃষিক্ষেত্রের স্বার্থেই।
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, রবিবার, সংসদে দু’টি কৃষি বিল পাশ হয়েছে। কৃষকদের অনেক অনেক অভিনন্দন। বর্তমান সময়ে কৃষিক্ষেত্রে এই পরিবর্তনের প্রয়োজন ছিল। আমাদের সরকার কৃষকদের জন্য এই সংস্কার এনেছে। আমি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই, এই আইন কৃষি মান্ডির বিরুদ্ধে নয়। কৃষি মান্ডিতে আগে যেভাবে কাজ হতো, এখনও সেভাবেই কাজ হবে। বরং আমাদের এনডিএ সরকারই কৃষি মান্ডিকে আধুনিকীকরণের কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, আমাদের দেশে এখনও পর্যন্ত ফসল বিক্রির যে আইন ছিল, সেই আইনের ফলে কৃষকদের হাত-পা বাঁধা ছিল। ওই আইনের আড়ালে এমন শক্তি জন্ম নিয়েছিল, যারা কৃষকদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়েছিল। এভাবে কতদিন চলতে পারে? কৃষকদের আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সমস্ত কৃষকদের আমি আশ্বস্ত করতে চাই, আগের মতোই চলবে নূন্যতম সহায়ক মূল্য ব্যবস্থা।
রবিবার ধ্বনিভোটের মাধ্যমেই সংসদে দু’টি কৃষি বিল পাশ করিয়েছে মোদী সরকার। এই দু’টি বিল হল-‘কৃষিপণ্য লেনদেন ও বাণিজ্য উন্নয়ন’ এবং ‘কৃষিপণ্যের দাম নিশ্চিত করতে কৃষকদের সুরক্ষা ও ক্ষমতায়ন চুক্তি’। এই দু’টি বিল প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যে কোনও স্থানে অবাধে উৎপাদিত পণ্য নিয়ে যেতে পারবেন কৃষকরা। এবার থেকে কৃষকরা বড়বড় স্টোরহাউজে, কোল্ড স্টোরেজে তাঁদের পণ্য সহজেই রাখতে পারবেন। আমাদের দেশে কোল্ড স্টোরেজের নেটওয়ার্ক আরও বিকশিত ও প্রসারিত হবে।