নয়াদিল্লি, ১৭ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : গোটা দেশ প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে করোনার বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে এই কথাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা: হর্ষবর্ধন। করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় ব্যর্থতা নিয়ে ক্রমাগত নিন্দায় সরব হয়েছে বিরোধী দল কংগ্রেস।
এদিন রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা: হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ৮ তারিখ থেকে করোনা পরিস্থিতির ওপর গুরুত্ব সহকারে নজর রেখে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী, অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিভিন্ন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে গেছে। কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দল অভিযোগ করেছিল করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে কোনরকম আলোচনা না করেই একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র।
এই প্রসঙ্গে বিরোধীদের দাবিকে নস্যাৎ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা: হর্ষবর্ধন জানিয়েছেন, বিগত কয়েক মাসে একাধিক অ্যাডভাইজারি এবং পূর্ণাঙ্গ পরামর্শ রাজ্যগুলিকে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। দেশের প্রথম করোনা রোগীকে চিহ্নিত করার আগে থেকে অর্থাৎ ৩০ জানুয়ারির আগে থেকে অ্যাডভাইজারি জারি করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। সেই সময় থেকে কন্টাক্ট ট্রেসিং এর কাজও শুরু হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তা ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। করোনা প্রতিষেধক তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্র।
বুধবার রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে কংগ্রেস সাংসদ আনন্দ শর্মা জানিয়েছিলেন যে কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে লকডাউনের জন্য ১৪ থেকে ২৯ লক্ষ মানুষকে করোনা রোগ থেকে বাঁচানো গিয়েছে। কিসের ভিত্তিতে কেন্দ্রে এমন দাবি করছে। এই প্রসঙ্গে এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পাঁচটি বৈজ্ঞানিক সংস্থার তথ্যের উপর ভিত্তি করে এমন দাবি করা হয়েছিল। পাশাপাশি করোনার জেরে গোটা দেশবাসী যে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছিল তা প্রশমনের জন্য ২০ হাজার লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের দক্ষ নীতির ফলে প্রতি দশ লক্ষ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রাজিলের তুলনায় ভারতে কম।কেন্দ্রের লক্ষ্য মৃত্যুর হার এক শতাংশের নীচে নামিয়ে আনা।
উল্লেখ করা যেতে পারে, আনলক ফোর শুরু হওয়ার পর থেকে গোটা দেশজুড়ে বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ।প্রত্যেকদিন লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে লোকসভায় আগে বিবৃতি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এদিন রাজ্যসভায়ও কেন্দ্রের অবস্থান করোনা নিয়ে স্পষ্ট করলেন তিনি।