জিবি কোভিড কেয়ার সেন্টারে করোনা রোগীদের রি ব্রীদিং অক্সিজেন রিজার্ভার মাস্ক প্রদান

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ সেপ্ঢেম্বর৷৷ জিবি কোভিড কেয়ার সেন্টারে করোনা রোগীদের রি ব্রীদিং অক্সিজেন রিজার্ভার মাস্ক প্রদান করা হয়েছে৷ মঙ্গলবার জিবি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন তথা সাংসদ প্রতীমা ভৌমিক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান৷ তিনি আরও কিছু বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছেন যা করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা নেবে৷


তিনি জানান, গত ২ সেপ্ঢেম্বর জিবির সফরে যান মুখ্যমন্ত্রী৷ ১২ টি বিষয় এই বৈঠকে দেওয়া হয়েছিল৷ এর মধ্যে ছিল জলের সমস্যা৷ ইতিমধ্যেই আগরতলা পুর নিগম থেকে দুটি জলের ট্যাঙ্ক স্যান্ডবাই রাখা হয়েছে৷ ক্যান্সার হাসপাতালের জলের লাইন জিবিতে দেওয়া হয়েছে৷ এতে করে জলের সমস্যা আরো কমে গেছে৷ নেই বললেই চলে৷ তাঁর পরেও জলের ট্যাঙ্কার রাখা হয়েছে৷ অক্সিজেনের পি এস আই — সব সময় নেওয়া হচ্ছে৷ ফ্লোর ম্যানেজমেন্টের জন্য ১৮ জনকে রাখা হয়েছে৷ ৪ জনকে রাখা হয়েছে ফ্লোর ম্যানেজার৷ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষ্যের সংযোগ রক্ষা করছেন তারা৷


এতদিন মৃতদেহ সরিয়ে নেওয়ার জন্য দুজন ছিল৷ ৮ সেপ্ঢেম্বর থেকে এই কাজে আরো ৬ জনকে রাখা হয়েছে৷ কোভিড ট্রিটমেন্ট সেন্টার থেকে যারা হোম আইসোলেশনে যেতে চাইছেন তাদের যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ সেই মোতাবেক ওষুধ দেওয়া হচ্ছে৷ নিয়মিত রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে৷ কোন অসুবিধা হলে দ্রুত সমাধান করা হচ্ছে৷ সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে ২৯ টা৷ তবে আরো ক্যামেরা বসানো হবে৷ ৪৯ জন নার্সকে নিয়োগ করা হয়েছে৷ জিবির জন্য আরো ৫০ জন নার্সের প্রয়োজন হবে৷ তাঁর জন্য দ্রুত ব্যবস্থা করা হচ্ছে সরকারী ভাবে৷ বুধবার থেকে এজিএমসি-র কাউন্সিল ভবনে বিকেল ৪ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত রোগীর আত্মীয়রা এসে তাদের রোগীর বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে পারবে৷
অনুরূপ ভাবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা কোভীড ট্রিটমেন্ট সেন্টারের ভেতরে থাকা চিকিৎসকদের সঙ্গে ফোনে কথা বলবেন৷ এছারা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে রি ব্রীদিং অক্সিজেন রিজার্ভার মাস্ক প্রদান করা হয়েছে৷ তিনটি ক্যাটাগরির মাস্ক আনা হয়েছে৷ এতে করে অক্সিজেন নষ্ট হবে না৷ গত তিন দিন এই বিষয়ে রোগীদের বোঝানো হয়েছে৷ মঙ্গলবার এজিএম সি-র কনফারেন্স হলে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান জিবির রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক৷ অক্সিজেন কণসেট্রেটার আগে ছিল ৬০ টি৷ আরো ১০০ দেওয়ার দাবি ছিল৷ এখন ৩০০ এসেছে৷ রি ব্রীদিং অক্সিজেন রিজার্ভার মাস্ক আগামী দিনে প্রত্যেকটি কোভীড কেয়ার সেন্টার ও হাসপাতাল গুলিতে প্রদান করা হবে৷

জিবিতে বর্তমান পরিস্থিতিতে ৭৫ জন ইন্টার্ন রয়েছে৷ তারা এই সময় কাজ করবে৷ ১৩০ জন পিজিটি রয়েছে৷ তারা সকলে কাজ করছে৷ তবে বিশেষজ্ঞ দল কিছু সাজেশন দিয়েছেন৷ গীতাঞ্জলী ও জিঞ্জার হোটেলে স্বাস্থ্য কর্মী ও চিকিৎসকদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ অতিরিক্ত ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে৷ কেন্দ্রীয় দল ৭৫ জন ইন্টার্নকে কাজে লাগাতে বলেছে৷ বাইরে থেকে ৪ জন এম ডি ডাক্তারকে জিবিতে দেওয়া হয়েছে৷ আরো ৪ জন এম ডি ডাক্তারকে নেওয়া হবে এই সময়ে৷ ডায়ালেসিসে কর্মী কম ছিল৷ সোমবার ২ জনকে ডায়ালেসিসে দেওয়া হয়েছে৷ মঙ্গলবার থেকে তারা কাজ শুরু করেছেন৷ বাই প্যাড মেশিন ২০ টি জিবিতে রয়েছে৷ আরো ২০ টি দেওয়ার জন্য বলেছেন৷ তা দ্রুত দেখা হচ্ছে৷ ১০ টি ভেন্টিলেটার ইনস্টল করা হয়েছে৷ গত ৭ সেপ্ঢেম্বর বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিং হোমের সঙ্গে বৈঠক হয়৷


সেই মোতাবেক আই এল এস ভেন্টিলেশন চেয়েছিল৷ তাদের চারটি ভেন্টিলেটর দেওয়া হয়েছে বলে জানান জিবির রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক৷ যারা এখন থেকে গায়নো সমস্যা নিয়ে আসবেন তাদের জন্য পৃথক কক্ষ্যের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ মহিলাদের সোনগ্রাফির জন্য মেশিন দেওয়া হয়েছে৷ এক্সরে মেশিন দেওয়ার বিষয়টি দ্রুত বিবেচনা করে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি৷ আই সি ইউ বেড আরো ৬০ টি বৃদ্ধি করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ দুদিনের মধ্যে তা করা হবে৷ রাজ্যবাসীকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আহ্বান জানান জিবির রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক৷ জিবিকে নিয়ে যে ভাবে ভরসা ছিল তা এখনো আছে৷


তাঁর প্রতি আস্থা রাখার আহ্বান জানান৷ তবে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন জিবির ১৫ শতাংশ কর্মী থেকে কোন ধরনের সহযোগিতা ও পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না৷ তারপরেও এদের নিয়ে কাজ করা হচ্ছে৷ দুটি দল মানুষকে সহায়তা করার জন্য কাজ করছে৷ সকলের সহযোগিতা নিয়ে এই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলে জানান জিবির রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক৷সমস্ত পরিষেবা এম্বুলেন্স গুলিতে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি৷ এই মাস্ক দেওয়া হবে বলে জানান৷ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ তারা রিপোর্ট দেবে৷ সেই অনুযায়ী সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে জানান জিবির রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক৷ জিবি হাসপাতালে জার যে দায়িত্ব রয়েছে তারা সেই কাজ করছে৷ দায়িত্ব ছাড়া কেউ এখানে নেই বলে জানান তিনি৷ এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন পশ্চিম জেলার শাসক, এম এস, ডেপুটি এম সহ অন্যান্যরা৷