নিজস্ব প্রতিনিধি, চুরাইবাড়ি, ১৩ সেপ্ঢেম্বর৷৷নিশিকুটুম্বদের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে ও থানার ভূমিকা সন্দেহজনক দেখে অবশেষে কদমতলা থানায় ডেপুটেশন মিলিত হল ইচ্ছাই লালছড়া গ্রামের লোকজন৷থানার বড় বাবুর কাছে ২৪ ঘন্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে ডেপুটেশনে মিলিত হলো স্থানীয় এলাকার লোকজন৷ স্থানীয়দের অভিযোগ কদমতলা থানার ওসির ভূমিকা সন্দেহজনক৷ কদমতলা থানার পুলিশ ইছাই লালছড়া বাসির সঠিক নিরাপত্তা প্রদান করতে ব্যর্থ হলে বৃহত্তর আন্দোলন সংগঠিত করার হুমকি স্থানীয়দের৷
ঘটনা বিবরণে প্রকাশ, গত ৯ সেপ্ঢেম্বর বুধবার উত্তরের কদমতলা থানাধীন ইচাইলালছাড়া গ্রামে সাফাই অভিযান চালায় নিশিকুটুম্বের দল৷ সংঘবদ্ধভাবে নিশিকুটুম্বের দল একই রাতে এগারোটি বাড়িতে সাফাই অভিযান চালায়৷ইছাই লালছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ২,৩ এবং ৫ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় এগারো নি৷ অবশেষে কদমতলা থানার ওসি কৃষ্ণধন সরকারের নিকট এক ডেপুটেশন মিলিত হন ইছাই লালছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ২,৩ এবং ৫ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় জনগণ৷ স্থানীয় জনগণ কদমতলা থানার পুলিশকে ২৪ ঘন্টার সময়সীমা বেঁধে দেন৷অন্যতায় স্থানীয় এলাকাবাসী প্রশাসনের ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে মিলিত হবেন অথবা বৃহত্তর আন্দোলন সংগঠিত করবেন৷ স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ পূর্বে ইচাইলালছাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে চুরির ঘটনা সংঘটিত হলেও কদমতলা থানার পুলিশ হাত-পা গুটিয়ে বসে রয়েছিল৷ কিন্তু ইদানীংকালে ওই এলাকায় চোরের উৎপাত মাত্রাধিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে৷ প্রতিদিন কারো না কারো ঘরে চোরের সাফাই অভিযান সংগঠিত হচ্ছে৷ এমনকি গত বুধবার একই রাতে এগারোটি বাড়িতে চুরির ঘটনা সংঘটিতহওয়ার পর থেকে স্থানীয় জনগণ আতঙ্কের মধ্যে দিনযাপন করছেন৷এগারোটি বাড়িতে চুরির ঘটনার পর কদমতলা থানার ওসি বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে ঐসকল বাড়িতে পরিদর্শন করে আসলেও তা ছিলো নাম মাত্রই সার৷ পুলিশ সরেজমিন তদন্ত করে যাওয়ার দিন রাতেও নিশিকুটুম্বদের আনাগোনা আন্দাজ করতে পারেন স্থানীয় জনগণ৷
স্থানীয় জনগণের বক্তব্য বর্তমানে নিশিকুটুম্বদের উৎপাতে উনারা গ্রাম ছেড়ে পালানোর উপক্রম৷ প্রতিরাতে কারো দরজা ভাঙছে বা কারোর দরজা খোলার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে৷কিন্তু কদমতলা থানার পুলিশের চোর ধরপাক করার তৎপরতা তো দূরের কথা ওই এলাকায় রাতের টহলদারি পর্যন্ত করছে না কদমতলা থানার পুলিশ৷ তাই নিরুপায় হয়ে কদমতলা থানার ওসির নিকট একটি ডেপুটেশন প্রদান করতে বাধ্য হয়েছেন স্থানীয় এলাকার জনগণ৷ স্থানীয়দের আরো অভিযোগ, কদমতলা থানার ওসি মুখে মুখে কুরুক্ষেত্র জয় করলেও নিজের কর্তব্য পালনে যে অশ্ব ডিম্ব প্রসব করেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷ স্থানীয়রা আরো অভিযোগ করে বলেন, কৃষ্ণধন সরকার কদমতলা থানায় ওসির দায়িত্ব হাতে নেওয়ার পর থেকে থানা এলাকায় চুরি, অসামাজিক কার্যকলাপ ও মদের রমরমা ব্যবসা মাথা ঝাড়া দিয়ে গজিয়েছে৷ কেউ কেউ আরো অভিযোগ করে বলছেন, রাতের কারফিউতে চোরদের কি ছাড় দিচ্ছেন কদমতলা থানার গুণধর ওসি৷ নাকি ওসির সাথে চোরদের কোন গোপন আঁতাত রয়েছে? প্রশ্ণ নানা মহলে৷
এদিকে উত্তর জেলার পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে উত্তরা জেলা থেকে বিপুল সাফল্য কুড়াচ্ছেন৷ কিন্তু উনার সেই স্বপ্ণকে ভেঙ্গে চুরমার করে দিচ্ছে কিছু স্বার্থান্বেষী গুণধর অফিসার৷ সেদিকে পুলিশ সুপার নজর না দিলে আগামী দিনে পুলিশ সুপার নিজেই যে কালিমালিপ্ত হবেন না তারও কোন নিশ্চয়তা নেই৷ সুতরাং কদমতলা থানা এলাকার স্থানীয় জনগণ জোরালো দাবি তুলছেন উত্তর জেলার পুলিশ সুপার কদমতলা থানার দিকে একটু দৃষ্টিপাত করেন৷