নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ সেপ্ঢেম্বর৷৷ জাস্টিস ফর ১০৩২৩ চাকরিচ্যুত শিক্ষক সংগঠনের তিন দিনব্যাপী গণবস্থান আন্দোলন স্তব্ধ করে দিল পুলিশ৷ ত্রিপুরা স্ব-শাসিত জেলা পরিষদের সদর কার্যালয় খুমূলুন এলাকায় এই আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছিল৷ আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছিল আমরা ১০৩২৩ কর্মচারী সংগঠন৷ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই জাস্টিস ফর ১০৩২৩ চাকরিচ্যুত শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা ত্রিপুরা জেলা পরিষদ এর মুখ্য কার্যালয় এলাকায় উদ্যোগ গ্রহণ করে৷ কয়েক শত আন্দোলনকারী ওই আন্দোলন স্থলে সম্ভবত হওয়ার চেষ্টা করেন৷রাজ্য সরকার এবং আরক্ষা প্রশাসন আন্দোলন স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য আগে থেকেই ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে৷
ওই এলাকায় আগে থেকেই পুলিশ ও কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়৷ আন্দোলনকারীরা সেখানে সমবেত হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী তাদের বাধা দেয়৷পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে আন্দোলনকারীরা গণবস্থান আন্দোলনে সামিল হওয়ার চেষ্টা করেন৷ এ নিয়ে আন্দোলনকারী এবং পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়৷ শেষ পর্যন্ত তাদের আন্দোলন স্তব্ধ করে দেয় হয়৷ তাদেরকে কোন অবস্থান আন্দোলনে শামিল হতে দেওয়া হয়নি৷ এনিয়ে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে৷ তারা পুলিশের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন৷
এভাবে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে তান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলনকারীদের এবং আন্দোলন স্তব্ধ করে দেয়ার ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয় বলে তারা স্পষ্টভাবেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন৷তারা আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হতে প্রস্তুত বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন৷ প্রয়োজনে তারা চাকরির জন্য জীবন দিতেও প্রস্তুত বলে জানান৷আন্দোলনকারীরা জানান সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তাদেরকে চাকুরীতে নিয়োগ করার কথা বলা হয়েছে৷ কিন্তু রাজ্য সরকার তাদের প্রতি ন্যূনতম সহানুভূতি দেখাচ্ছেনা৷সে কারণে বাধ্য হয়ে তারা আন্দোলনের পথে পা বাড়িয়েছে৷ তারা অভিযোগ করেন অনেকের পরিবারে অনাহার-অর্ধাহারে নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ সম্প্রতি রাজধানী আগরতলা শহর এলাকার বাধা কাটে পার্থ মজুমদার নামে এক চাকরিচ্যুত শিক্ষকের হৃদ রোগে মৃত্যুর ঘটনাকে রাজ্য সরকারের গাফিলতি কে দায়ী করা হয়েছে৷ এখনো পর্যন্ত চাকরিচ্যুত জনের মৃত্যু হয়েছে বলে তারা জানান৷ রাজ্য সরকারের এ ধরনের খামখেয়ালিপনা তারা কোনোভাবেই মেনে নেবেন না বলে জানিয়েছেন৷
এদিকে আমরা ১০৩২৩ চাকরি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আজ আন্দোলনে শামিল হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেন৷ তারা ত্রিপুরা স্ব-শাসিত জেলা পরিষদ এর সদর কার্যালয় এলাকায় আন্দোলনে সামিল হওয়ার জন্য যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন.৷ তাদেরকে আগরতলায় আটকে দেওয়া হয়৷পুলিশ তাদেরকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে তাদেরকে সেখানে আন্দোলনে অংশ নিতে দেওয়া যেতে দেওয়া হবে না৷ তাদের প্রত্যেককে বাড়ি ঘরে ফিরে যেতে বলেছে পুলিশ৷ পুলিশের এহেন ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা৷গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ওপর এক ধরনের দমন-পীড়ন নীতি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে তারা স্পষ্টভাবে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন৷আগামী দিনে তারা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন৷

