নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ সেপ্ঢেম্বর৷৷ গত ২৪ আগস্ট ২০১৮-২০ বি এড এবং ডি এল এড স্পনসর স্টুডেন্টদের পক্ষ থেকে উপজাতি কল্যাণ দপ্তরে ডেপুটেশন প্রদান করা হয়৷ তাদের বক্তব্য ছিল এক বছরের কোর্স ফি যেন দ্রুত মিটিয়ে দেওয়া হয়৷ এই ডেপূটেশন প্রদানের সময় দপ্তরের অধিকর্তা, উপ অধিকর্তা তাদের কাছে সময় চান বিষয়টি সমাধানের জণ্য৷ সেই মোতাবেক ১০ দিনের সময় দেওয়া হয়৷ কিন্তু ১০ দিনের সময় অতিক্রান্ত হয়েছে ইতিমধ্যেই৷ অবশেষে কোন সুরাহা না হওয়ায় ১৪ দিন বাদে সোমবার ফের একই দাবিতে গুর্খা বস্তী স্থিত উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তার সঙ্গে দেখা করতে যান বি এড এবং ডি এল এড স্পনসর স্টুডেন্টরা৷ এদিন তাদের পুলীশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ৷
পড়ে অবশ্য তাদের ভেতরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়৷ শেষ পর্যন্ত তারা জানতে পারেন অধিকর্তা ও উপ অধিকর্তা করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারনে অফিসে নেই৷ কিন্তু অফিস কর্মীদের কাছে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি৷ এদিকে কলেজ থেকে তাদের উপর চাপ দেওয়া হচ্ছে৷ টাকা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য বার বার বলা হচ্ছে৷ নতুবা তাদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়৷
এই অবস্থায় পরীক্ষায় বসতে না পারলে তাদের ভবিস্যৎ অন্ধকারে দিকে ধাবিত হবে৷ গোটা ঘটনায় উদ্বিগ্ণ তারা৷ সে কারনে নিরুপায় হয়ে এদিন তারা অধিকর্তার সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি জানাতে এসেছিলেন বলে জানান৷ কিছু কিছু কলেজ অকথ্য ভাষায় এস এম এস করে ছাত্র ছাত্রীদের মানসিক ভাবে চাপ দিচ্ছে৷ দুই বছরের কথা বলে কথা রাখেনি দপ্তর বলে অভিযোগ করেন তারা৷ এক বছর পর দপ্তর তাদের টাকা দিতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ৷ এই ক্ষেত্রে চরম বিপাকে পড়েছে বি এড এবং ডি এল এড স্পনসর স্টুডেন্টরা৷ তাদের কোর্স কিভাবে সম্পন্ন হবে এই নিয়ে প্রশ্ণ তোলেন তারা৷ ২১৮ জন ছাত্র ছাত্রী রয়েছে বি এড এবং ডি এল এড স্পনসর স্টুডেন্টদের মধ্যে৷