নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ১ সেপ্ঢেম্বর৷৷ ছড়ার জলে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে মারপিট৷দা লাঠি দিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম সংঘাত৷ তাতে মৃত ১ আহত উভয়পক্ষের ৭ জন পুরুষ মহিলা ও শিশু৷ থানায় মামলা৷ গ্রেফতার মজির উদ্দিন (৪৮), আয়াতুন নেছা(৩৮) এবং আববাস উদ্দিন (১৮)৷ঘটনা চুড়াইবাড়ি থানাধীন পূর্ব ফুলবাড়ি এলাকায়৷
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, গতকাল সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ উত্তর জেলার চুরাইবাড়ি থানাধীন পূর্ব ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মজির উদ্দিন পিতা মশরফ আলীর যায়গার উপর দিয়ে একটি ছোট ছড়াতে পাশের বাড়ির আব্দুল নুরের ছেলে সুজেল উদ্দিন মাছ ধরতে এসেছিলো৷ তখন জায়গার মালিক মজির উদ্দিন, স্ত্রী আয়াতুন নেছা ও ছেলে আববাস উদ্দীন একত্রিত ভাবে দা ও লাঠি দিয়ে ঐ যুবকের উপর আক্রমণ চালায়৷ সুজেলের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে তার পরিবারের লোকজন বেরিয়ে ঘটনাস্থলে আসলে তাদের উপর চড়াও হয় মজির উদ্দিন তার ছেলে ও স্ত্রী৷
তাদের দা ও লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হন আব্দুল নুর, নুরুল হক, রেশমা বেগম, শুক্কুরজান বিবি ও সুজেল হোসেন (১১) বলে তাদের অভিযোগ৷তবে অল্পবিস্তর আহত হয় জায়গার মালিক মজির উদ্দিন তার স্ত্রী ও পুত্র৷ ঘটনার খবর পেয়ে অকুস্থলে চুরাইবাড়ি থানার পুলিশ ছুটে এসে গুরুতরভাবে আহত উভয়পক্ষের ৮ জন পুরুষ মহিলা ও শিশুকে উদ্ধার করে কদমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে৷ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সকলের অবস্থা গুরুতর দেখে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে রেফার করেন৷ তাদের মধ্যে সুজেল হোসেনের কাকা নুরুল হকের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে আগরতলা জিবি হাসপাতালে রেফার করা হয়৷ তড়িঘড়ি নুরুল হকের আত্নীয় পরিজনরা তাকে আগরতলা জিবি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কালরাতেই জিবি হাসপাতাল তার মৃত্যু হয়৷
পাশাপাশি এই ঘটনাটি সংঘটিত হওয়ার পর চুড়াইবাড়ি থানার পুলিশ ২১ নম্বরের ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৬/৩০৭/৩৪ ধারায় একটি মামলা রুজু করে দা ও লাঠি দিয়ে আক্রমনকারী অভিযুক্ত মজির উদ্দিন (৪৮), স্ত্রী আয়াতুন নেছা(৩৮) ও ছেলে আববাস উদ্দিনকে (১৮) গ্রেপ্তার করে৷ এদিকে চুড়াইবাড়ি থানার ওসি জয়ন্ত দাস জানান,ধৃত মজির উদ্দিন তার স্ত্রী ও ছেলেকে আজ ধর্মনগর জেলা আদালতে প্রেরণ করেছে চুরাইবাড়ি থানার পুলিশ৷ পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে হামলায় ব্যবহৃত কিছু সামগ্রী উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ বলে ওসি জানান৷
এখন দেখার বিষয় স্বজনহারা পরিবারটি কতটুকু নায্য বিচার পায়৷

