মাছ ধরা নিয়ে দুই পরিবারে সংঘর্ষ

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ৩১ আগস্ট৷৷ ছড়ার জলে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে মারপিট৷দা লাঠি দিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম সংঘাত৷ আহত উভয়পক্ষের ৮ জন পুরুষ মহিলা ও শিশু৷ অবস্থা গুরুতর হওয়াতে সকলকে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর৷ ঘটনা চুড়াইবাড়ি থানাধীন পূর্ব ফুলবাড়ি এলাকায়৷


ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, উত্তর জেলার চুরাইবাড়ি থানাধীন পূর্ব ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬ নং ওয়ার্ডের ছোট ছড়ার জলে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে চরম মারপিট সংঘটিত হয়েছে৷ অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ৷দুই পক্ষের তরফ থেকে চুরাইবাড়ি থানায় মামলা দায়ের৷ ঘটনা স্থলে সানীয় থানার পুলিশ উপস্থিত হয়ে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে৷ বর্তমানে দু পক্ষের ৮ জন পুরুষ মহিলা ও শিশু গুরুতরভাবে আহত অবস্থায় জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷দু পক্ষের অভিযোগ মূলে পূর্ব ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মজির উদ্দিন পিতা মশরফ আলীর যায়গার উপর দিয়ে একটি ছোট ছড়া অবসিত৷গত ২ দিন যাবৎ প্রবল বৃষ্টিপাতের ধরুন উক্ত ছড়ায় মাছ ধরতে যায় পাশের বাড়ির আব্দুল নুরের ছেলে সুজেল উদ্দিন এমনটা জায়গা মালিক মজির উদ্দিনের পরিবারের অভিযোগ৷ তাদের অভিযোগ, আব্দুল নুরের ছেলে সুজেল হোসেনকে তাদের জায়গার উপর মাছ ধরতে বাধা দিলে আব্দুল নুর সহ তার আত্মীয় স্বজনরা অতর্কিতভাবে জায়গার মালিক মজির উদ্দিন (৫৩) স্ত্রী আয়াতুন নেছা ও ছেলে আববাস উদ্দীনকে দা লাঠি দিয়ে হামলা চালিয়ে গুরুতরভাবে আহত করে৷


অপরদিকে পাশের বাড়ি আব্দুল নুরের পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের এগারো বছরের ছেলে সুজেল হোসেন আজ সকালে মজির উদ্দিনের জায়গার উপর ছোট ছড়াতে মাছ ধরতে গিয়েছিলে৷ আর সেই অপরাধে তাদের ছেলেকে মারধোর করতে শুরু করে জায়গা মালিক মজির উদ্দিন তার স্ত্রী ও পুত্র৷ছেলের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে তারা বেরিয়ে ঘটনাস্থলে আসলে তাদের উপর চড়াও হয় মজির উদ্দিন তার ছেলে ও স্ত্রী৷ তাদের দা ও লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হন আব্দুল নুর, নুরুল হক, রেশমা বেগম, শুক্কুরজান বিবি ও সুজেল হোসেন (১১) বলে তাদের অভিযোগ৷ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে চুরাইবাড়ি থানার পুলিশ৷ ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ গুরুতর আহত অবস্থায় উভয়পক্ষের ৮ জন পুরুষ মহিলা ও শিশুকে উদ্ধার করে কদমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে৷ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সোমালি নাথ সকলের অবস্থা গুরুতর দেখে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে রেফার করেন৷ বর্তমানে উভয় পক্ষের সকলেই আশঙ্কাজনকভাবে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷
অপরদিকে চিকিৎসক সোমালি নাথ জানান, উভয়পক্ষের মধ্যে মারপিটে সকলের অবস্থায় প্রায় গুরুতর৷ দা লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলে জানান চিকিৎসক৷