নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম/শান্তিরবাজার, ৩০ আগস্ট৷৷ রাবার সিট নিয়ে যাওয়ার সময় অটো গাড়ি উল্টে ঘটনাস্থলে মৃত্যু ঘটে মিঠন দেবনাথ (২৭) নামে একটি যুবকের৷ মৃত যুবকের বাড়ি মেলাঘর থানাধীন বাগমারা এলাকায়৷ ঘটনার বিবরণে জানা যায় রবিবার সাত সকালে মেলাঘর বাগমারা এলাকার রাবার মালিক শিবু সরকারের কেনা বিশালগড় গজারিয়া এলাকার গৌতম দাসের বাড়িতে রাবার সিট নেওয়ার জন্য নিজের অটো গাড়ি নিয়ে আসে মিঠন দেবনাথ৷
গজারিয়া এলাকার গৌতম দাসের বাড়ি থেকে প্রায় তিনশো আশি কেজি রাবার সিট নিয়ে গাড়িটিকে সম্পুর্ন ভর্তী করে নেয় এবং প্রত্যেক সময়ের মতো গৌতম দাস তার বাড়ি থেকে মাল ভর্তী গাড়িটি ধাক্কা মারে বাড়ি থেকে রাস্তায় উঠিয়ে দেয় কিন্তু আজ মিঠন দেবনাথ সেই সুযোগটা গৌতম দাসকে না দিয়ে একাই অটো গাড়িটি চালিয়ে তুলতে গেলে রাবার সিটের ওভার লোড থাকায় গাড়িটির সামনের চাকা উপরে উঠলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে একটি বড় আকৃতির তোলা গাছের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে৷ কিন্তু প্রান বাঁচাতে চালক মিঠন দেবনাথ গাড়ি থেকে লাফ দিলে সেই গাড়ির নিচে পড়ে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা চিৎকার চেচামেচি করে ঘটনাস্থলে এসে অটো গাড়িটিকে সকলে মিলে উপরের দিকে তুলে অটোর নিচ থেকে চালক মিঠন দেবনাথকে সরিয়ে নিয়ে আসে৷
কিন্তু ততক্ষণে মিঠন দেবনাথ পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যায়৷ কারণ অটোর নিচ থেকে সরিয়ে আনলে স্থানীয়রা দেখতে পায় তার মাথা পুরোপুরি ভাবে থেথলে মাথার বেশ কিছু অংশ বেড়িয়ে এসে পড়েছে৷ তখন স্থানীয়রা বিশালগড় ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়৷ কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখতে পায় মিঠন দেবনাথ মৃত৷ কাবণ তার মাথার মজক অন্য জায়গায় পড়ে আছে এবং তার দেহ অন্য জায়গায়৷ তখন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানিয়েছেন মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ফায়ার সার্ভিস কাজ করে না৷ শুধুমাত্র আহতদের উদ্ধার করাই হলো ফায়ার সার্ভিসের কাজ৷ তাই ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা চলে যায় এবং বিশালগড় থানার এএসআই আসিফ ইকবাল মৃত মিঠন দেবনাথের মেলাঘর বাড়িতে খবর দেয়৷ খবর পেয়ে মিঠন দেবনাথের পিতা নারায়ন দেবনাথ , সহ পরিবারের সবাই এসে মৃতদেহের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়ে৷
জানা যায় মিঠন দেবনাথ সাত বছর আগে বিয়ে করে এবং তাদের একটি পাচ বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে৷ যাকে মিঠন কষ্ট করে ইংলিশ মিডিয়াম সুকলে পড়াশুনা করাচ্ছে৷ মৃতার মা বাবার বক্তব্য গতকালকে মিঠন দেবনাথ তার বাড়িতে প্রচুর মানুষকে নিমন্ত্রণ করে খায়িয়েছে৷ তাহলে কি সেটা তার জীবনের ঋন শোধ করা নাকি অন্যকিছু৷ বিশালগড় থানার পুলিশ মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে এবং ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন৷
এদিকে, শান্তির বাজার মহকুমার অন্তর্গত উত্তর জোলাইবাড়ী হাসপাতাল চৌমুহনী এলাকার বাসিন্দা হলধর সাহা ( ৮০ ) পথদুর্ঘটনায় প্রান হারালেন৷ জানা যায় উদয়পুর থেকে সাব্রুমগামী একটি গাড়ী হলধর সাহাকে উনার বাড়ীর সামনে জাতীয় সড়কে সজোরে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়৷ গাড়ীর ধাক্কায় হলধর সাহা জাতীয় সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় বলে জানা যায়৷ জানা যায় গাড়ীটি দ্রুত গতিতে ছিলো৷ হলধর সাহাকে ধাক্কা দিয়ে গাড়ীটি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়৷ দুর্ঘনটার পর এলাকাবাসী হলধর সাহাকে জোলাইবাড়ী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়েযায়৷ সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক হলধর সাহাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন৷ জোলাইবাড়ী ফাঁড়ীর ওসি জানান দুর্ঘটনার পর উনারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন৷ মৃতদেহ ময়না তদন্তে পর উনাদের পরিবারের লোকজনদের হাতে তুলে দেওয়া হবে৷ ওসি গৌতম জমাতিয়া জানান পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ জানানো হয়নি৷ তবে পুলিশ গাড়ীটিকে খোঁজার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান৷