লিসবন, ২৪ আগস্ট (হি.স.): উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসল বায়ার্ন মিউনিখ। প্রথমবার ফাইনালে ওঠা প্যারিস সাঁ-জা’কে ফাইনাল ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের খেতাব ঘরে তোলে বায়ার্ন মিউনিখ। ইতিহাসে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় দৃশ্যতই হতাশ প্যারিসের ফুটবলপ্রেমীরা। তাঁদের সেই হতাশার বহিঃপ্রকাশ হল হিংসার মাধ্যমে। বায়ার্নের কাছে হারের পর শান্ত প্যারিসকে রীতিমতো অশান্ত করে ফেললেন পিএসজি সমর্থকরা। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, মারধর এসবই হল। এমনকী করোনার আতঙ্কও রাশ টানতে পারল না সমর্থকদের আবেগে। শেষপর্যন্ত পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হল, এমনকী ছুঁড়তে হল কাঁদানে গ্যাসও।
গতকাল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল দেখার জন্য পিএসজির নিজস্ব স্টেডিয়ামে দুটি জায়ান্ট স্ক্রিন বসানো হয়েছিল। তবে, করোনা বিধির জন্য স্টেডিয়ামে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছিলেন মাত্র ৫ হাজার জন। খেলা শুরুর পরও দেখা গেল স্টেডিয়ামের বাইরে বহু মানুষের লাইন। জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখতে না পেয়ে এমনিতেই হতাশ হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। দলের হারের পর সেই হতাশা আরও বেড়ে যায়। তাঁরা ‘চ্যাম্পস এলিসিসে’ ভাঙচুর শুরু করেন। বেশ কয়েকটি বার এবং ক্যাফেতেও ভাঙচুর করা হয়। প্যারিসের পশ্চিম প্রান্তে রীতিমতো রাস্তায় নেমে গাড়ি এবং দোকানে আগুন লাগিয়ে দেন তাঁরা। পুলিশ বাধ্য হয়ে লাঠি চার্জ করে, কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। বহু সমর্থককে আটকও করা হয়।
আসলে এর আগে ফ্রান্স থেকে এর আগে মাত্র একটি দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল। পিএসজি সমর্থকরা আশায় বুক বাঁধছিলেন, তাঁদের দলই ফ্রান্সের দ্বিতীয় দল হিসেবে এই টুর্নামেন্ট জিতবে। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। কাতারের বিনিয়োগকারীরা কোটি কোটি টাকা খরচ করে যে নেইমার, এমবাপেদের কিনেছিলেন, সেই তারকারই এদিন হতাশ করলেন। কিংসলে কোম্যানের একমাত্র গোলে প্যারিস সাঁ জাঁ-কে হারিয়ে ষষ্টবারের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স জিতল বায়ার্ন মিউনিখ। ট্রফির এত কাছে গিয়েও সামান্য ব্যাবধানের এই হার মানতে পারলেন না সমর্থকরা।