নিজস্ব প্রতিনিধি, চুরাইবাড়ি, ২২ আগস্ট৷৷ কদমতলা পুলিশের তীর বিরোধী অভিযান৷ অভিযানে আটক ৩ কুখ্যাত তীরের এজেন্ট৷ উদ্ধার নগদ অর্থ, তীরের টিকেট সহ ২ টি মোবাইল সেট৷ এলাকা জুড়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস৷
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, উত্তর জেলার কদমতলা থানার ওসি কৃষ্ণধন সরকারের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রেমতলা ও কদমতলা বাজারে তীর বিরোধী অভিযান চালায় কদমতলা থানার পুলিশ৷এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন কদমতলা থানার এস আই প্রাজিত মালাকার, অপু দাস সহ বিশাল পুলিশবাহিনী৷ আজ দুপুর দুটো নাগাদ প্রেমতলা বাজারের অধীর মালাকার (৪২) পিতা ধীরেন্দ্র মালাকারকে তীরের টিকেটসহ লেনদেন সমেত আটক করে কদমতলা থানার পুলিশ৷ ধৃত অধীর মালাকারের বাড়ি কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ নং ওয়ার্ডে৷ পাশাপাশি অধীর মালাকারের মিষ্টির দোকান থেকে আটক করা হয় অপর তীরে এজেন্ট প্রেমতলার বাসিন্দা হেলাল হোসেন (৪৫) পিতা আরিফ আলিকে৷
এদিকে কদমতলা বাজারের তীর মাফিয়া কুসুম চন্দ (৫২) পিতা পুতুল চন্দকে তীরের টিকেট সহ আটক করে কদমতলা থানার পুলিশ৷ ধৃত কুসুম চন্দের বাড়ি দক্ষিণ কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১ নং ওয়ার্ডে৷ পুলিশ ধৃত ৩ তীরের এজেন্টকে আটক করে কদমতলা থানায় নিয়ে আসে৷ সাথে উদ্ধার করা হয় তীর খেলার বিভিন্ন সামগ্রী সহ তীরের টিকেট৷ উদ্ধার করা হয় দুটি মোবাইল ফোনসহ ৩ হাজার ৮০ টাকা৷ বর্তমানে কুখ্যাত তীরের এজেন্টরা কদমতলা থানার হেফাজতে রয়েছে৷
অপরদিকে কদমতলা থানার ওসি কৃষ্ণধন সরকার জানান,দীর্ঘদিন থেকে কদমতলা থানা এলাকার কদমতলা ও প্রেমতলা বাজারে ধৃত ৩ তীরের এজেন্ট সাধারণ জনগণকে সর্বশান্ত করে দিচ্ছিল৷ অবশেষে আজ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তীর বিরোধী অভিযানে নেমে তাদের জালে তুলতে সক্ষম হয় পুলিশ৷ ওসি আরো জানান, প্রেমতলা বাজারে অধীর মালাকার তার মিষ্টির দোকানের আড়ালে তীরের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছিল৷ আর তার সাথে সহযোগী অপর তীরে এজেন্ট ছিলো হেলাল হোসেন৷ পাশাপাশি কদমতলা বাজারে কুসুম তার সেলুনের আড়ালে তীরের সাম্রাজ্য তৈরি করেছিল৷ বর্তমানে কদমতলা থানার পুলিশ ধৃত ৩ তীরের এজেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে৷ তাদের কাছ থেকে গ্রামাঞ্চলের কোন তীরের এজেন্টদের হদিস পায় কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ তবে ধৃত ৩ জন তীর কারবারির মধ্যে কুসুম ছন্দ উত্তর জেলার মধ্যে তার শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে নিয়েছে৷ আজকের সর্বনাশা তীর বিরোধী অভিযানে জনমনে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে এসেছে৷