নয়াদিল্লি, ২১ আগস্ট (হি. স.): চলতি অর্থবর্ষের দেশে ১,০৬২.৯৩ লক্ষ হেক্টর জমিতে খরিফ শস্য চাষ হয়েছে। গত বছর ৯৭৯.১৫ লক্ষ হেক্টর জমিতে এই চাষ হয়ে ছিল। এ বছর খরিফ শস্যের চাষের পরিমাণ ৮.৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ খবর জানিয়ে পিআইবি লিখেছে, এ বছর ৩৭৮.৩২ লক্ষ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। গত বছর ৩৩৮.৬৫ লক্ষ হক্টর জমিতে এই ধান চাষ হয়েছিল। অর্থাৎ, গত বছরের তুলনায় এ বছরে ১১.৭১ শতাংশ বেশি পরিমাণ জমিতে ধান চাষ হয়েছে।
দেশে এ বছর ১৩২.৫৬ লক্ষ হেক্টর জমিতে ডাল চাষ হয়েছে। গত বছর ১২৪.১৫ লক্ষ হেক্টর জমিতে ডাল চাষ হয়েছিল। অর্থাৎ, গত বছরের তুলনায় এ বছর ৬.৭৭ শতাংশ বেশি পরিমাণ জমিতে ডাল চাষ হয়েছে। গত বছর ১৬৬.৮০ লক্ষ হেক্টর জমিতে এই দানাশস্যের চাষ হয়েছিল। এ বছর তা ৪.৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৭৪.০৬ লক্ষ হেক্টর জমিতে এই চাষ হয়েছে।
চলতি অর্থবর্ষে ১৯১.১৪ লক্ষ হেক্টর জমিতে তৈলবীজের চাষ হয়েছিল। গত বছর ১৬৭.৫৩ লক্ষ হেক্টর জমিতে তৈলবীজের চাষ হয়। অর্থাৎ, গত বছরের তুলনায় এ বছর ১৪.০৯ শতাংশ বেশি পরিমাণ জমিতে তৈলবীজের চাষ হয়েছে।
গত বছর ৫১.৬২ লক্ষ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছিল। এ বছর ১.১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৫২.১৯ লক্ষ হেক্টর জমিতে এই চাষ হয়েছে।
এ বছর ১২৭.৬৯ লক্ষ হেক্টর জমিতে তুলো চাষ হয়েছে। গত বছর ১২৩.৫৪ লক্ষ হেক্টর জমিতে এই চাষ হয়েছিল। অর্থাৎ, গত বছরের তুলনায় এ বছর ৩.৩৬ শতাংশ বেশি পরিমাণ জমিতে তুলো চাষ হয়েছে।
চলতি বছরে ৬.৯৭ লক্ষ হেক্টর জমিতে পাট ও মেস্তা চাষ হয়েছে। গত বছর ৬.৮৬ লক্ষ হেক্টর জমিতে এই চাষ হয়। অর্থাৎ, গত বছরের তুলনায় এ বছর দেশে ১.৬৮ শতাংশ বেশি পরিমাণ জমিতে এই চাষ হয়েছে।
এই চাষের অগ্রগতি থেকে বোঝা যাচ্ছে যে খরিফ শস্য চাষের ওপর কোভিড-১৯-এর কোনও প্রভাব পড়েনি। ২০ আগস্ট পর্যন্ত দেশে ৬৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ১ জুন থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত সাধারণ পরিমাণের থেকে ৬% বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। কেন্দ্রীয় জল সংরক্ষণ কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের ১২৩টি জলাধারে যথেষ্ট পরিমাণ জল সঞ্চয় রয়েছে।