ইমফল, ১০ আগস্ট (হি. স.) : আস্থা ভোটে শক্তি প্রদর্শন করলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। কংগ্রেসের ৮ জন বিধায়ক এদিন বিধানসভায় অনুপস্থিত ছিলেন। ফলে, ধ্বনি ভোট জয়ী হয়েছে বিজেপি জোট।
প্রসঙ্গত, মণিপুর বিধানসভায় একদিকে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং আস্থা প্রস্তাব আনেন। অন্যদিকে বিরোধী কংগ্রেস অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল। কিন্তু, অধ্যক্ষ কংগ্রেসের অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেন।
গত কয়েকদিন ধরেই মণিপুরে রাজনৈতিক অচলাবস্থা দেখা দিয়েছিল। গত ১৭ জুন মণিপুরে বিজেপি জোট সরকার বেকায়দায় পড়ে গিয়েছিল। ছয় জন সদস্য সমর্থন প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন এবং বিজেপির ৩ জন বিধায়ক দলত্যাগ করে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। কংগ্রেস গত ২৮ জুলাই বিধানসভায় অনাস্থা প্রস্তাবের সুপারিশ করেছিল। কিন্তু, তা মঞ্জুর হয়নি। বরং, গত ৭ আগস্ট মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং আস্থা প্রস্তাব পেশ করেন।
কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক কে গোবিন দাস মুখ্যমন্ত্রীর আস্থা প্রস্তাবে-র বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার হুইপ জারি করেছিলেন। তাতে বলা হয়েছিল, কংগ্রেসের সকল বিধায়ক ১০ আগস্ট সকাল ১১ টায় বিধানসভায় অবশ্যই উপস্থিত থাকবেন এবং আলোচনায় অংশ নেবেন। শুধু তাই নয়, মণিপুর প্রদেশ কংগ্রেসের নির্দেশ মোতাবেক ভোট দেবেন। কিন্তু, এদিন কংগ্রেসের আট জন বিধায়ক বিধানসভায় অনুপস্থিত ছিলেন।
ষাট সদস্যক মণিপুর বিধানসভায় বর্তমানে অধ্যক্ষ সহ ৫৩ সদস্য রয়েছেন। কারণ, ৪ জন বিধায়কের দলত্যাগ বিরোধী আইনে বিধায়ক পদ খারিজ হয়েছে এবং ৩ জন বিজেপি বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন। এমনিতে, কংগ্রেসের বিধায়ক রয়েছেন ২৪ জন এবং শাসক বিজেপি জোটের বিধায়ক সংখ্যা ২৯। তাতে, ১৮ জন বিজেপি দলের এবং ৪ জন করে সদস্য এনপিপি এবং এনপিএফ-র। এছাড়া, এক জন করে সদস্য রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস এবং লোক জনশক্তি পার্টি-র ও একজন নির্দল বিধায়ক রয়েছেন।
তবে, আজ মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং আস্থা ভোটে জিতলেও মণিপুরে রাজনৈতিক অচলাবস্থা সহজে মিটবে বলে মনে করছেন না পর্যবেক্ষক মহল।