ইমফল, ৬ আগস্ট (হি.স.) : পাঁচ-পাঁটটি হাসপাতালে ভরতি করেনি। ফলে বিনা চিকিৎসায় অকালে প্রাণ হারিয়েছেন গর্ভবতী মহিলা। সম্ভবত সন্তানেরও মাতৃগর্ভেই মৃত্যু হয়েছে। মৃত সন্তানের প্রসবের জন্য উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার প্ৰয়োজন অনুভব করে চিকিৎসকরা ওই গর্ভবতী মহিলাকে স্থানান্তর করেন। কিন্তু অভিযোগ, ইমফলের পাঁচটি নামজাদা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভরতি করতে গররাজি হয় ওই অভাগিনীর। হৃদয়বিদারক এই ঘটনায় মণিপুরকে কলংকিত করেছে বলে সচেতন মহলের বক্তব্য।
প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, মণিপুরের নোনি জেলার নুঙবা মহকুমার পুঁইচি গ্রামের বাসিন্দা জনৈক রোশান বালাঙের স্ত্রী কাচাকনা কামেই প্রসবযন্ত্রনা নিয়ে বুধবার বেলা দুটো নাগাদ সেনাপতি হাসপাতালে ভরতি হন। তাঁর স্বামী জানিয়েছেন, চিকিৎসকরা প্রসূতির সমস্ত কিছু স্বাভাবিক বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু রাত সাড়ে দশটা নাগাদ চিকিৎসকরা তাঁকে অন্যত্র উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার জন্য স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। চিকিৎসকদের বক্তব্য, প্রসবে কিছু শারীরিক সমস্যা হচ্ছে। তিনি বলেন, মাতৃগর্ভেই সন্তানের মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা দ্রুত আমাদের ইমফল নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন।
রোশান বলেন, চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে স্ত্রী-কে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ইমফলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। কিন্তু সারা রাত হাসপাতালের দরজায় দরজায় ঘুরেও স্ত্রীকে বাঁচাতে পারেননি। তিনি বলেন, পাঁচটি হাসপাতাল আমার স্ত্রীকে ভরতি করেনি। ভোর চারটা নাগাদ ইমফলের সিজা হাসপাতালের বাইরে তাঁর স্ত্রী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, জওহরলাল নেহরু ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স (জেএনআইএমএস) হাসপাতালও ভরতি করেনি। এই ঘটনায় মণিপুর জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।