কদমতলায় কন্টেইনমেন্ট জোনে তীব্র খাদ্য সংসকট, প্রতিবাদে পথ অবরোধ

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ৪ আগস্ট৷৷ উত্তরের কদমতলা ব্লকাধীন সরসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে তীব্র উত্তেজনা৷ কন্টেইনমেন্ট জোনে আবদ্ধ সানীয়দের খাদ্য সামগ্রী ও পানীয় জলের দাবিতে পথ অবরোধ৷কদমতলা ব্রজেন্দ্রনগর ও কদমতলা পিয়ারী ছড়া পৃথক দুটি রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদে নামল ১৭ দিন কন্টেইন্টমেন্ট জোনে থাকা সরসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাধারণ মানুষ৷ ঘটনা সরসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ নাম্বার ওয়ার্ডে সরসপুর সুকল সংলগ্ণ এলাকায়৷


খাদ্য সামগ্রী ও পানীয় জলের দাবিতে দীর্ঘ ৩ ঘন্টা পথ অবরোধের পর ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন সরসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সচিব সহ পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান৷ ঘটনাস্থলে এসে কন্টেইনমেন্ট জোনে থাকা উত্তেজিত সাধারণ মানুষদের আশ্বস্ত করেন যে, উনারা এই বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের সাথে আলোচনা ক্রমে কতটুকু সাহায্য করা যায় যা দেখবেন৷ পাশাপাশি আজ বিকেল থেকে কোন রেড জোন বা কন্টেইনমেন্ট জোন থাকবেনা৷ শুধু যাদের পরিবারের করোনা পজিটিভ রোগী চিহ্ণিত হবে সেই পরিবারকে হোম কায়ারেইন্টানে রাখা হবে৷ উনাদের আশ্বাসে আশ্বস্ত হয়ে উত্তেজিত পথ অবরোধকারীরা উনাদের পথ অবরোধ প্রত্যাহার করেন৷

ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, উত্তর জেলা কদমতলা ব্লকাধীন সরসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ নং ওয়ার্ডে বেশ কয়েকজন মানুষের শরীরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ার পর ২ নং ওয়ার্ডকে ১৭ দিন পূর্বে সম্পূর্ণ কোন্টাইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্ণিত করে রাখা হয়৷ বিগত ১৭ দিনে সরসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ নং ওয়ার্ডের ৫২ পরিবারের ২১০ জন নাগরিক খাদ্য সামগ্রী ও পানীয় জলের সংকটে পড়ে যান৷ অবশেষে নিরুপায় হয়ে আজ ২ নং ওয়ার্ডের কন্টেইনমেন্ট জোনে থাকা স্থানীয় বাসিন্দারা কদমতলা-ব্রজেন্দ্রনগর ও কদমতলা-পিয়ারীছড়া পৃথক দুটি রাস্তা অবরোধ করে বসেন৷ তাদের দাবি দীর্ঘ ১৭ দিন যাবত সরসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ নং ওয়ার্ডকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা দেওয়ার পর খাদ্য সামগ্রী ও পানীয় জলের তীব্র সংকটে ভুগছিলেন ওই এলাকার স্থানীয় জনগণ৷ কিন্তু সরকারি আধিকারিক ও সরকারের তরফ থেকে কোন ধরনের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়নি৷


অবশেষে নিরুপায় হয়ে আজ সরসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ নং ওয়ার্ডের ৫২ পরিবারের ২১০ জন স্থায়ী বাসিন্দা সরসপুর সুকল সংলগ্ণ এলাকায় কদমতলা-পিয়ারী ছড়া ও কদমতলা-বজেন্দ্র নগর দুটি ব্যস্ততম সড়ক অবরোধ করে বসেন৷ সড়ক অবরোধের প্রায় ৩ ঘন্টা পর ঘটনাস্থলে ছুটে যান সরসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সচিব হিরণময় নাথ ও পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান৷ উনারা ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত অবরোধকারীদের সাথে কথা বলে আশ্বস্ত করেন যে, অতি শীঘ্রই উনাদের খাদ্যসামগ্রী ও পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে উর্দতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার ক্রমে যাতে সমস্যা দূর করা যায় সে বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেন৷পাশাপাশি আজ কদমতলা পঞ্চায়েত সমিতি হলে উত্তর জেলার জেলাশাসক ,মহকুমা শাসক সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এক আলোচনায় সিদ্ধান্ত করেন যে, আজ বিকাল থেকে কোন ধরনের রেড জোন বা কন্টেইনমেন্ট জোন হিসাবে চিহ্ণিত করা হবে না৷ শুধু যে পরিবারের করোনা পজিটিভ রোগী চিহ্ণিত হবে সেই পরিবারের বাকি সদস্যদেরকে হোম কোয়ারেইন্টানে রাখা হবে৷


সুতরাং আজকে কদমতলা পঞ্চায়েত পঞ্চায়েত সমিতি হলে সিদ্ধান্ত হওয়া বিষয়গুলো অবরোধকারীদের কাছে তুলে ধরেন পঞ্চায়েত সচিব হিরণময় নাথ৷উত্তেজিত পথ অবরোধকারীরা পঞ্চায়েত সচিব প্রধান ও উপ-প্রধানের আশ্বাসে আশ্বস্ত হয়ে অবশেষে তাদের পথ অবরোধ প্রত্যাহার করে৷ এখন দেখার বিষয় যেসব এলাকায় করোনা গন সংক্রমন দেখা দেবে সেই সকল এলাকায় প্রশাসনিক নজরদারি কতটুকু তৎপর হবে৷এদিকে টানা তিন থেকে চার ঘণ্টা ব্যস্ততম দুটি পথ অবরোধের ফলে বেশ কিছু যানবাহন আটকা পড়ে সাথে কিছুটা যাত্রী দুভর্োগ দেখা দেয়৷