গুয়াহাটি, ২৮ জুলাই (হি.স.) : বর্ষার মরশুমে এক পশলা বৃষ্টি হলেই কৃত্রিম বন্যায় প্লাবিত হয়ে যায় গুয়াহাটি মহানগরের বিভিন্ন এলাকা। গতানুগতিক এই সমস্যার কোনও স্থায়ী সমাধান করা যাচ্ছে না। কৃত্রিম বন্যা পরিস্থিতিতে সমগ্র গুয়াহাটির জনগণ জর্জরিত হয়ে উঠছেন। এরই মধ্যে চমকপ্রদ পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে গুয়াহাটি পৌরনিগম। এবার মহানগরীর নালা নর্দমা পরিষ্কারের জন্য কোনও সাফাই কর্মীর প্রয়োজন হবে না। নালা পরিষ্কার করবে রোবট। এমনটাই পরিকল্পনা করছে গুয়াহাটি পৌরনিগম। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে উত্তরপূর্বের মধ্যেই প্রথমবারের মতো নালা নিষ্কাশনের কাজে ব্যবহৃত রোবটকে দেখা যাবে।
গুয়াহাটি পৌরনিগমকে উদাহরণ স্বরূপ রোবট প্রদান করবে অয়েল ইন্ডিয়া কর্পোরেশন। এটা হয়ে গেলে গুয়াহাটির মোট ৩৭৯টি নালা সাফাইয়ের কাজে দেখা যাবে রোবটকে। আজ রোবটের মাধ্যমে এই কাজের শুভ সূচনা করেছেন গুয়াহাটি উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য। অবশ্য প্রথম পর্যায়ে পরীক্ষামূলক পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে এই রোবটের মাধ্যমে নালার আবর্জনা ও জল নিষ্কাশন প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। পুরোপুরিভাবে এই প্রক্রিয়া চালু হওয়ার পর চারটি রোবট দুর্গন্ধময় আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ করবে। ফলে নালার দুর্গন্ধময় আবর্জনা পরিষ্কারের ক্ষেত্রে সাফাই কর্মীদের নালায় না নেমে রোবটের সাহায্যে সুচারূরূপে মহানগরীর সাফাইকর্ম সম্পন্ন করতে পারবেন।
অবশ্য এই কাজে বিশেষভাবে রোবট পরিচালনার জন্য সাফাইকর্মী যথার্থভাবে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এছাড়া ব্যবহৃত চারটি রোবটে থাকবে ক্যামেরা। ক্যামেরার মাধ্যমে নালার ভেতরে বিদ্যমান ময়লা আবর্জনা সবিশেষ দেখা যাবে। তাই নালার অবস্থা বুঝেই যথার্থভাবে আবর্জনা সাফাইয়ের কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে সহজতর হয়ে উঠবে। এমন-কি নালার ভেতরে মজুত আবর্জনা থেকে কী ধরনের গ্যাস তৈরি হচ্ছে তা-ও রোবট সহজভাবে বুঝতে পারবে। অবশ্য গুয়াহাটি পৌরনিগম আগেও এ ধরনের বহু পরিকল্পনার সূচনা করেছিল। কিন্তু বর্তমানে বহুসংখ্যক কর্মসূচি বন্ধ হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় বর্তমানে নালার আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য সূচনাকৃত রোবট কর্মসূচি কতটুকু সফল হবে তা সময় বলবে।