টিএমসিতে ফের করোনার থাবা, ৫ জন আক্রান্ত, দুদিন বন্ধ রাখা হচ্ছে প্রসূতি বিভাগ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ জুলাই৷৷ ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ তিনজন গর্ভবতী মহিলা সহ পাঁচজন রোগীর দেহে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে৷ তাই, ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷ এদিকে, হাসপাতালের এক্স-রে ইউনিটের এক কর্মীর দেহেও করোনার সংক্রমণ মিলেছে৷ তাই, ওই ইউনিট-টিও স্যানিটাইজ করা হয়েছে৷


প্রসঙ্গত, করোনার প্রকোপ সর্বত্র দেখা দিয়েছে৷ ফলে, পরীক্ষার হার বেড়েছে৷ সম্প্রতি ত্রিপুরা মেডিকেল চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীর দেহে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছিল৷ তাতে, হাসপাতাল ৪৮ ঘন্টা বন্ধ রেখে সকলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল৷ তখন প্রসূতি বিভাগে ভর্তি রোগীদেরও নমুনা সংগ্রহ করেছিল৷ গতকাল রিপোর্ট আসার পর দেখা গেছে, প্রসূতি বিভাগে তিনজন গর্ভবতী মহিলা সহ পাঁচ জন রোগী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন৷ সঙ্গে সঙ্গে তাদের কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে৷ পাশাপাশি প্রসূতি বিভাগ বন্ধ করে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷


এ-বিষয়ে হাসপাতাল সুপার ডাঃ দেবাশীষ দত্ত বলেন, প্রসূতি বিভাগে করোনা আক্রান্তের ঘটনায় আপাতত ওই বিভাগটি বন্ধ রাখা হয়েছে৷ প্রাথমিক সিদ্ধান্ত রয়েছে, আজ এবং আগামীকাল বন্ধ রাখা হবে৷ তবে, ওই বিভাগে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টর উপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে৷ তিনি বলেন, প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের একান্তবাসে পাঠানো হয়েছে৷ আগামী রবিবার তাদের নমুনা পরীক্ষা হবে৷ তারপর, প্রসূতি বিভাব খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে৷
তিনি জানান, আজ সকাল থেকেই প্রসূতি বিভাগের রোগীদের অন্যত্র পাঠানো হয়েছে৷ সাথে তিনি যোগ করেন, এক্স-রে ইউনিটের এক কর্মী করোনা আক্রান্তের ঘটনায় ওই ইউনিটটি আজকে পুনরায় স্যানিটাইজ করা হয়েছে৷

এদিকে, শুধু প্রসূতি বিভাগ ছাড়া হাসপাতালে রোগী ভর্তি বন্ধ হয়নি বলে দাবি করেন তিনি৷ তাঁর কথায়, আজ থেকে রোগী ভর্তির ক্ষেত্রে প্রত্যেকের এন্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে৷ তাতে, রোগী-র কাছ থেকে কোন ফি নেওয়া হচ্ছে না৷ কারণ, ত্রিপুরা সরকার বিনামূল্যে কিট সরবরাহ করছে৷
এদিকে, সমগ্র দেশের পাশাপাশি রাজ্যেও করোনার প্রকোপ চলছে৷ রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা৷ যদিও সরকার করোনা মোকাবেলায় একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে৷ ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সোমবার থেকে স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা সার্ভে শুরু করবে৷ বাড়ি বাড়ি যাবে স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা৷ উপসর্গ থাকলে করোনা পরীক্ষা করা হবে৷ পাশাপাশি সরকার জিবি হাসপাতালে বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে৷ সেই মোতাবেক শুক্রবার করোনা পরীক্ষার জন্য জিবি হাসপাতালে ভিড় জমায় অসংখ্য মানুষ৷ সকাল থেকে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে পড়ে সাধারন মানুষ৷ করোনা পরীক্ষা করতে আসা লোকজনের বক্তব্য সরকারের এই ধরনের উদ্যোগ প্রশংসনীয়৷ তবে জিবি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার কাজ সকাল ৮ টা থেকে শুরু করার দাবি জানায় সাধারণ লোকজন৷ কারন করোনা পরীক্ষার জন্য জিবি হাসপাতালে আসার পর লোকজনদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাড়িয়ে থাকতে হচ্ছে৷সে যাই হোক সরকার এই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করায় খুশি সাধারন মানুষ৷