রেপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে তের জনের দেহে মিলল করোনা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ জুলাই৷৷ রেপিড অ্যান্টিজেন ডিটেকশন টেস্টে শনিবার তের জনের কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে৷ সাথে সাথেই তাদের কোভিড কেয়ার সেন্টারে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ আক্রান্ত তের জনের মধ্যে পশ্চিম জেলায় ১০ জন, দক্ষিণ জেলায় ১ জন এবং সিপাহীজলা জেলায় ২ জন৷ এদিকে, করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে৷ বর্তমানে কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯৷ শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ এই তথ্য দিয়েছেন৷


তিনি জানান, রাজ্যে এখন কোভিড-১৯ সংক্রমিত রোগী রয়েছেন ৫৪১ জন৷ ফেসিলিটি কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৩৪৫ জন৷ হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৪,৮৬০ জন৷ আজ পর্যন্ত মোট নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৮৩,১৪৭ জনের৷ মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮১,৪৮৩ জনের৷ এদের মধ্যে রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে ১,৯৩২ জনের৷ পজিটিভদের মধ্যে সুুস্থ হয়ে ছাড়া পেয়েছেন ১,৩৭৫ জন৷ তিনি জানান, রাজ্যে বর্তমানে ৪৯টি কনটেইনমেন্ট জোন রয়েছে৷ এরমধ্যে পশ্চিম জেলায় ২টি, সিপাহীজলা জেলায় ১৩টি, গোমতী জেলায় ২৬টি, দক্ষিণ জেলায় ৪টি, ঊনকোটি জেলায় ২টি এবং ধলাই জেলায় ২টি কনটেইনমেন্ট জোন রয়েছে৷

সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, আজ পর্যন্ত রাজ্যে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের সুুস্থ হওয়ার হার ৭১.৬৯ শতাংশ৷ প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যায় রাজ্যে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২০,৩৮৩ জনের৷ আজ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১,৭৩৫ জনের৷ আজ ৩ জন রোগী সুুস্থ হওয়ার পর ছাড়া পেয়েছেন৷ এরমধ্যে ২ জন লালসিংমুড়া পি এইচ সি থেকে এবং ১ জন আমবাসা পি আর টি আই থেকে ছাড়া পেয়েছেন৷ আজ ৪৩৫ জন চুড়াইবাড়ি গেট দিয়ে রাজ্যে প্রবেশ করেছেন৷ তিনি জানান, গতকাল যে ১৪১ জন করোনা রোগী পাওয়া যায় তারমধ্যে খোয়াই জেলার ৬৩ জন, পশ্চিম জেলার ৩৫ জন, ধলাই জেলার ১৫ জন, গোমতী জেলার ১০ জন, দক্ষিণ জেলার ৬ জন, উত্তর জেলার ১ জন এবং সিপাহীজলা জেলার ১১ জন রয়েছেন৷ আজ অ্যান্টিজেন ডিটেকশন টেষ্ট করা হয় পশ্চিম জেলার ৪৪৫ জনকে৷ পজিটিভ পাওয়া যায় ১০ জন৷ দক্ষিণ জেলায় টেষ্ট করা হয় ২২ জনকে৷ পজিটিভ পাওয়া যায় ১ জন৷ সিপাহীজলায় টেষ্ট করা হয় ২৩ জন৷ পজিটিভ পাওয়া যায় ২ জনের৷ গোমতী জেলায় টেষ্ট করা হয় ৪৬ জনকে৷ এই জেলায় পরীক্ষায় কাউকে পজিটিভ পাওয়া যায়নি৷