নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৫ জুলাই৷৷ বিমান চালু রয়েছে৷ এই সুযোগে নিজেদের বাড়িতে ফেরার জন্য রাজ্যেরই কয়েকজন টিকিট কেটে আগরতলায় এমবিবি বিমানবন্দরে আসেন রবিবার সন্ধ্যায়৷ এদের মধ্যে কেউ বেঙ্গালুরু থেকে, কেউ পুনে থেকে কেউ চেন্নাই থেকে৷ তবে তারা আগরতলা বিমানবন্দরে আসার পর জানতে পারে, রাজ্যে লকডাউন চলছে৷ তাদের সেখান থেকে সি আই এস এফ জওয়ানরা জানিয়ে দেয়, তারা কেউই আগরতলা বিমান বন্দরে থাকতে পারবে না৷
পুলিশ এসে তাদের নিয়ে যাবে৷ যথারীতি পশ্চিম থানা থেকে একটি গাড়ি দিয়ে এই বিমান যাত্রীদের নিয়ে আসা হয় পশ্চিম থানাধীন পোস্টফিস চৌমুহনীতে৷ এখানে এনেই পুলিশ তাদের দায়িত্ব খালাস করে দেয়৷ যাত্রীদের কারোর বাড়ি ধর্মনগর তো কারোর সাব্রুম, কারোর বিলোনিয়া৷ লকডাউন চলছে, তো তারা যাবেন কিভাবে৷ কোথায় থাকবেন তারা এই বিষয়ে তারা পুলিশের কাছে সহায়তা চাইলে পুলিশ তাদের ধুর ছাই করে থানার এলাকা থেকে রীতিমতো তাড়িয়ে দেয়৷ কি অবস্থা৷ যেখানে পুলিসের দায়িত্ব তাদের ব্যবস্থা করে দেওয়ার, সেখানে পুলিসই তাদের তাড়িয়ে দেয়৷ উপায় না পেয়ে এই সব ছেলেরা মাঝ রাস্তার মধ্যেই দাঁড়িয়ে থাকে৷
কোথায় যাবে, কি করবে, তারা তা নিয়েই সন্দিহান হয়ে পড়ে সবাই৷ এই বিষয়ে একজন যাত্রী বলেন, বিপদের সময় তো পুলিসের সহায়তা দরকার৷ যেটাই করলোনা পশ্চিম থানার পুলিশ৷ উল্টো তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হলো৷ এই ভাবে কি কেউ মানুষের বিপদের সময় করে নাকি, বলেই নিজেদের অভিযোগ জানায় যাত্রীরা৷একই কথা বলেন আরেকজন যাত্রী ও৷ তিনি বলেন, একে তো লকডাউন, তার মধ্যে তাদের কারোর কাছেই সেই রকম অর্থ নেই,হোটেল ভাড়া করে থাকার জন্য৷ কি যে করবেন, কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না৷এমন তো হওয়ার কথা ছিল না৷ যারাই বিমানে করে আসবেন এমন জরুরি কালীন সময়ে তাদের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব কিন্তু পুলিশেরই৷
যেটাই বিগত দিনে হয়েছে৷ আর এখন তো করোনা পরিস্থিতি৷ এর মধ্যে তো এই সব যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব আরো অধিক পুলিশের৷ এটা না করে কিভাবে পুলিস, তাদের খোলা রাস্তায় ছেড়ে দিল, এটাই মূল প্রশ্ণ যাত্রীদের৷ অবশেষে তারা বাধ্য হয়ে হোটেলে উঠলেন৷ কিন্তু হোটেলের টাকা কিভাবে দেবেন তারা, তাই এখন তাদের জানা নেই৷ এই বিষয়ে তারা মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি ও আকর্ষণ করলেন৷

