সভা ফেরত বিজেপি নেতা কর্মীদের ওপর আইপিএফটির হামলা, থমথমে খুমুলুং

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২ জুলাই৷৷  খুমুলুং শরিকি রাজনীতিতে গভীর চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ ত্রিপুরায় শাসক জোট বিজেপি-আইপিএফটি-র মধ্যে সম্পর্কের উষ্ণতার পারদ ক্রমশ চড়ছে৷ আজ খুমুলুঙে আইপিএফটি কর্মীরা বিজেপি কর্মীদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুঁড়েছে৷ তাতে তিন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন৷ তবে কড়া পুলিশি প্রহরায় পরিস্থিতি বিগড়ে যায়নি৷ কিন্তু টানটান উত্তেজনা রয়েছে৷ মূলত, এদিন বিজেপি-তে যোগদান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আইপিএফটি ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছে৷ ফলে আজ বিজেপিতে যোগদানকারীদের নিরাপত্তায় কড়া পুলিশের প্রহরা মোতায়েন করা হয়েছে৷



বৃহস্পতিবার খুমুলুঙে নোয়াই সভাগৃহে বিজেপি-র সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি প্রদেশ সভাপতি ডা. মানিক সাহা, সাংসদ রেবতীমোহন ত্রিপুরা, প্রাক্তন এমডিসি পতিরাম ত্রিপুরা, প্রতীক কিশোর দেববর্মা সহ জনজাতি নেতারা৷ এদিন সভায় এডিসি নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে৷ দলের সাংগঠনিক বিস্তারে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য কর্মী-সমর্থকদের ভোকাল টনিক দিয়েছেন বিজেপি প্রদেশ সভাপতি৷ তাঁর কথায়, ধৈর্য ধরে এগিয়ে যেতে হবে৷ দলের নীতি-আদর্শ মেনে সংগঠনের প্রসার বাড়াতে হবে৷ শুধু তা-ই নয়, সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধির জন্যও ভাবতে হবে৷ তাঁর সাফ কথা, জনজাতিদের অধিকার প্রতিষ্ঠা বিজেপি-র পক্ষেই সম্ভব৷ তাই কারোর প্ররোচনার ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না৷



এদিন সভা শেষে আইপিএফটি এবং সিপিএম ছেড়ে ৬৫ পরিবার বিজেপি-তে যোগদান করেছে৷ তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপি-র প্রদেশ সভাপতি এবং সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা৷ এই যোগদান কর্মসূচিকে ঘিরে গতকাল খুমুলুঙে বিজেপি কার্যালয় নাশকতার আগুনে পুড়েছে৷ আজও আইপিএফটি বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা করেছে৷ তবে গতকালের ঘটনার জেরে আজ প্রচুর নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন থাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়েছে৷



জনৈক বিজেপি নেতা বলেন, আজ যোগদান কর্মসূচি সেরে ফেরার সময় আইপিএফটি কর্মীরা আমাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়েন৷ মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি অগ্ণিগর্ভ রূপ নেয়৷ আইপিএফটি-র ছোঁড়া ইটপাটকেলে ৩ বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন৷ তবে, পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপে আইপিএফটি কর্মীরা সেখান থেকে পালিয়ে যান৷ তাঁর দাবি, বর্তমানে এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে ঠিকই, কিন্তু আজ যাঁরা যোগদান করেছেন তাঁদের উপর প্রতিশোধ নেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ তাই, প্রচুর পুলিশ, টিএসআর এবং কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে৷ তবে, গত দুদিনে ত্রিপুরায় শাসক জোটে ফাটল আরও গভীর হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *