নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৫ জুন৷৷ জরুরি অবস্থার ভয়ঙ্করতম অধ্যায় আজকের প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা উচিত৷ তাই আজ জরুরি অবস্থা-র ৪৫ তম বর্ষপূর্তি-তে সারা দেশে কালো দিবস পালন করছে বিজেপি৷ ত্রিপুরাতেই প্রায় ৩,০০০ স্থানে বিজেপি কালো দিবস পালন করেছে৷
সারা ত্রিপুরায় পারস্পরিক দূরত্ব এবং লকডাউনের নির্দেশিকা মেনে প্রায় ৩ হাজার স্থানে দলীয় কার্যকর্তা সমর্থকরা প্ল্যা-কার্ড হাতে নিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেন৷ এ-বিষয়ে বিজেপি-র প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক টিঙ্কু রায় বলেন, প্রত্যাশা অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার প্রায় ৩০ হাজার কার্যকর্তা-সমর্থক ওই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন৷ তাঁর কথায়, জরুরি অবস্থা নিয়ে কংগ্রেস লজ্জাবোধ করে না৷ তাই তাঁদের গণতন্ত্রের কলঙ্কজনক অধ্যায় মনে করিয়ে দিতে চাই৷
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল৷ দেশের গণতন্ত্রে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়ের রচনা হয়েছিল সেদিন৷ তাই কেন্দ্রীয় নির্দেশ অনুসারে আজ বিকেল চারটায় সমস্ত বুথে কার্যকর্তারা গলায় প্ল্যা-কার্ড ঝুলিয়ে জরুরি অবস্থার নিন্দা জানানো হয়েছে৷ তাঁর কথায়, রাজ্য কমিটির পদাধিকারী, দলের সকল নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ, জেলা কমিটি, মণ্ডল কমিটি তথা সমস্ত মোর্চার পদাধিকারী সহ সদস্য এবং সদস্যাগণ ও ত্রিপুরার প্রত্যেক বুথ কমিটি এবং বুথের সমস্ত পৃষ্ঠাপ্রমুখদের পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে সবর্োচ্চ ২০ জন একত্রিত হয়ে ওই কর্মসূচি পালন করেছেন৷ তিনি বলেন, বিজেপি প্রদেশ সভাপতি ডাঃ মানিক সাহা উদয়পুরে দলীয় কার্যকর্তা ও সমর্থকদের সাথে ওই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন৷
টিঙ্কু রায়ের কথায়, আজকের প্রজন্ম জরুরি অবস্থার ইতিহাস সম্পর্কে জানে না৷ দেশের গণতন্ত্রের কলঙ্কজনক অধ্যায় সম্পর্কে অবগত নন তাঁরা৷ তিনি উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, বিরোধী কণ্ঠ দমিয়ে রাখার জন্যই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল৷ অথচ অত্যন্ত পরিতাপের সাথে বলতে হচ্ছে, কংগ্রেস আজ গণতন্ত্র ভুলুণ্ঠিত বলে দাবি করে সুর চড়াচ্ছে৷ তাদের লজ্জা নেই, তাই তারা গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলার সাহস দেখাতে পারে, বিদ্রুপের সুরে বলেন তিনি৷