নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ জুন৷৷ গ্রামীণ ও নগর এলাকায় গরিব অংশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করছে ত্রিপুরা সরকার৷ দ্ব্যর্থহীন ভাষায় এ-কথা বলেন ত্রিপুরার উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা৷ তাই স্ব-সহায়ক দলগুলিকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কীভাবে আরও সক্রিয় করে তোলা যায় সেই দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে৷ দলের প্রতিটি সদস্য যাতে আত্মনির্ভর হয়ে উঠতে পারেন সেই লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে৷ আজ মেলাঘর পুর পরিষদের সভাকক্ষে পুর পরিষদের কাজকর্মের পর্যালোচনা করতে গিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা এ-কথা বলেন৷
এদিন তিনি বলেন, গ্রাম ও শহর সবাইকে এক নজরে রেখেই বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷ তাতে, সবার বাড়িতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার এক ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ ওই বৈঠকে মেলাঘর পৌর পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক তথা সোনামুড়ার মহকুমাশাসক সুব্রত মজুমদার পুর এলাকার উন্নয়নমূলক কাজকর্মের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন৷
তাঁর কথায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পুর এলাকায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ৩২৮টি পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে৷ ১১৩৪টি পরিবারে বিজ্ঞানসম্মত শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে৷ ২০১৯-২০ অর্থবছরে টুয়েপ প্রকল্পে পুর এলাকায় ৮ লক্ষ ৬৫ হাজার ৬৭ শ্রমদিবসের কাজ হয়েছে৷ সংখ্যালঘু উন্নয়ন প্রকল্পে ৬৮টি পরিবারকে ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে৷ সাথে তিনি যোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মাননিধি প্রকল্পে মেলাঘর পুর এলাকায় ১৭৩ জন কৃষক আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন৷
প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনায় ৫২৫টি পরিবারকে বিনামূল্যে গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হয়েছে৷ বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পে একটি যাত্রী বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হয়েছে৷ এতে ব্যয় হয়েছে ২ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা৷
এদিন এই পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুভাষচন্দ্র দাস, মেলাঘর পৌর পরিষদের চেয়ারপার্সন উত্তম দাস, ভাইস চেয়ারপার্সন সুপাঙ্ক সরকার, মেলাঘর পৌর পরিষদ কাউন্সিলর এবং বিভিন্ন দফতরের পদস্থ আধিকারিকগণ৷