নয়াদিল্লি, ২৩ জুন (হি. স.) : দেশের করোনা পরিস্থিতি এবং সীমান্তে চিন-ভারত সংঘাত নিয়ে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত দলের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী জানিয়েছেন, পূর্ব লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা দু’দেশের সেনার মধ্যে এখনো রয়েছে। দেশ যে সংকটের মুখোমুখি হয়েছে তার জন্য কেন্দ্রে থাকা বিজেপি সরকারের ভ্রান্ত নীতি এবং ভুল ব্যবস্থাপনা দায়ী।
এ নের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং, রাহুল গান্ধী, পি চিদাম্বরম, আহমেদ প্যাটেল, অধীর রঞ্জন চৌধুরী, গুলাম নবি আজাদ সহ দলের বর্ষীয়ান ও শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।এদিনের বৈঠক ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে হয়েছে।পূর্ব লাদাকের গালওয়ান উপত্যকায় চিনা আগ্রাসনে শহিদ হওয়া কর্নেল বি সন্তোষ বাবু সহ কুড়ি জন শহীদের স্মরণে দু মিনিটের নীরবতা পালন করা হয়।
বৈঠক শুরু হওয়ার পরে নিজের বক্তব্যে সোনিয়া গান্ধী জানিয়েছেন, দেশের অর্থনীতিতে যে সংকট দেখা দিয়েছে তা দূরীভূত করার জন্য সরকারকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল কংগ্রেসের তরফ থেকে। কিন্তু সরকার বিরোধীদের কথা শোনে না। গরিবদের আর্থিক সংকট দূর করার পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে প্রসার ও প্রচারের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত রাজকোষ উন্মুক্ত করা। কিন্তু তা না করে মোদী সরকার এমন একটি আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করল, যা জিডিপির এক শতাংশেরও কম। গোটা বিশ্ব জুড়ে যখন অপরিশোধিত তেলের দাম কমে চলেছে তখন ভারতে বিগত ১৭ দিন ধরে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। কেন্দ্র কোন নীতির উপর ভিত্তি করে সাধারণ মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে সেটা এখনও স্পষ্ট নয় ।
করোনা সমস্যা আজও আমাদের দেশে এক ভয়াল আকার ধারণ করে রয়েছে। কেন্দ্র যতই আশ্বস্ত করুক না কেন।বাস্তব পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে যে প্রতিদিন লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সংকটের এই মুহূর্তে রাজ্যগুলিকে আর্থিক সাহায্য করার আশ্বাস কেন্দ্র দিয়েছিল। কিন্তু এখনো পর্যন্ত রাজ্য সরকারগুলি একটা টাকাও পায়নি।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং জানিয়েছেন, যে সাহস ও সংকল্প নিয়ে করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা উচিত ছিল। তেমনটা হয়নি।তাই প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।পাশাপাশি চিনা আগ্রাসন যদি দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবিলা না করা যায় তবে পরিস্থিতি আরো সংকটজনক হয়ে উঠবে।