নয়াদিল্লি, ২১ জুন (হি.স.) : অতিমারি কোভিড-১৯-এর আবহে লকডাউনের সময় রাজধানী দিল্লিতে উত্তর-পূৰ্বাঞ্চলের ১২ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণে আক্ৰান্ত হয়ে রাজধানীতে উত্তরপূৰ্বের আরও চারজন মৃত্যুবরণ করেছেন। তাঁদের সকলের শেষকৃত্য সম্পন্ন করাকে প্রয়াতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি মনে করেন দিল্লির স্পেশাল পুলিশ কমিশনার (এসপিসি) রবীন হিবু।
অরুণাচল প্ৰদেশের আইপিএস অফিসার রবীন হিবুকে উত্তর-পূৰ্বাঞ্চলের যে কোনও নাগরিকের সমস্যাবলি দেখতে নডেল অফিসার হিসেবে নিয়োগ করেছে দিল্লি পুলিশ। নিজেদের বাড়ি থেকে বহু দূরে মৃত ব্যক্তিদের তাঁদের নিজের নিজের ধৰ্ম, সামাজিক বিধি ও নিয়ম অনুসারে শেষকৃত্য করে তাঁদের প্রতি এর চেয়ে বড়মাপের গভীর শ্ৰদ্ধাঞ্জলি আর নেই বলে মনে করেন স্পেশাল পুলিশ কমিশনার।
এসপিসি হিবু বলেন, অসমের লখিমপুর জেলার সনিয়া দেউরি নামের এক তরুণির অতিসম্প্রতি কোভিডে আক্ৰান্ত হয়ে দিল্লিতে মৃত্যু হয়েছে। দিল্লির এইমস-এ চিকিৎসা চলছিল তাঁর। গত ১২ বছর ধরে দিল্লিতে একটি বেসরকারি প্ৰতিষ্ঠানে কাজ করছিলেন তরুণি সনিয়া। তাঁর মৃত্যুর পর দিল্লিতে শ্মশানের অভাব এবং মৃতদেহ বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ির অভাব দেখা দেয়। ফলে মৃতদেহ সংকারে বহু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁর। দ্বারকার সমাধিক্ষেত্ৰে আর অবশিষ্ট জায়গা নেই। উত্তর-পূৰ্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি মৃতদেহ দ্বারকার সমাধিক্ষেত্র সৎকার করা হয়েছে। অবশ্য করোনার আবহে সমাধিক্ষেত্ৰ সম্প্ৰসারণের জন্য পরিচালন সমিতিকে একটি বেসরকারি সংস্থা আৰ্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এ ছাড়াও দিল্লির যে কোনও জায়গা থেকে বিনা খরচে স্বৰ্গরথে (মৃতদেহবাহী শকট) শ্মশান পৰ্যন্ত নিয়ে যেতে সর্দার দেবেন্দ্ৰ সিংয়ের নেতৃত্বে সংযুক্ত শিখ-দের সঙ্গে একটি চুক্তিও হওয়ার কথা তিনি জানিয়েছেন তিনি।