হাফলং (অসম), ১৮ জুন (হি.স.) : লামডিং-বদরপুর পাহাড় লাইনে বৃহস্পতিবার থেকে চলছে পণ্যবাহী ট্রেন। গত ১৭ দিন থেকে পাহাড় লাইনে সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার পর অবশেষে আজ সকাল থেকে সচল হয়ে উঠেছে পাহাড় লাইন। আগামী ২২ জুন থেকে চলবে যাত্রীবাহী ট্রেন।
গত ১ জুন রাতে মুপা ও মাইবাঙের মধ্যবর্তী ৫৭/০ এবং ৫৭/২ কিলোমিটার অংশে ধস নেমে প্রায় ৮০ মিটার এলাকায় রেলওয়ে ট্র্যাকের নীচের মাটি ধুয়েমুছে যাওয়ার পাশাপাশি প্রায় ২০০ মিটার রেলপথ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। যার দরুন গত ১৭ দিন থেকে রেলপথে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল বরাক উপত্যকার তিন জেলা কাছাড় করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দি সহ ত্রিপুরা, মিজোরাম এবং মণিপুর। তবে মুপায় ধস বিধ্বস্ত এলাকায় রেল কর্মী ও ঠিকাদার সংস্থা যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে আগের জায়গা থাকা রেললাইনের অ্যালাইনমেন্ট প্রায় ৩০ মিটার দূরে সরিয়ে ১৮০ মিটার জায়গায় মাটি ভরাট করে নতুন করে রেলপথ নির্মাণ করা হয়ে। এর পর বুধবার প্রথমে পরীক্ষামূলক ভাবে সফলতার সঙ্গে লাইট ইঞ্জিন চালানোর পর আজ সকালে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ট্র্যাক সার্টিফিকেট দেয়। ট্র্যাক সার্টিফিকেট পাওয়ার পর শুরু হয় পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল।
উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের সিনিয়র জনসংযোগ আধিকারিক নৃপেন্দ্র ভট্টাচার্য জানান, আজ প্রথমে বদরপুর থেকে লামডিংগামী খালি পণ্যবাহী গাড়ি মুপার ধস বিধ্বস্ত এলাকার নতুন ট্র্যাক দিয়ে পার হয়েছে। তার পর লামডিং থেকে আরেকটি পণ্যবোঝাই ট্রেন ওই জায়গা দিয়ে স্বচ্ছন্দে পার হয়ে যায়। আগামী রবিবার পর্যন্ত এই রেলপথ দিয়ে শুধু পণ্যবাহী ট্রেনই চলাচল করবে। আগামী ২২ জুন অর্থাৎ সোমবার থেকে চলবে যাত্রীবাহী ট্রেন। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের সিনিয়র জনসংযোগ আধিকারিক নৃপেন্দ্র ভট্টাচার্য জানান, ২২ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় আগরতলা থেকে আনন্দবিহারের উদ্দেশে রওয়ানা হবে রাজধানী এক্সপ্রেস। তবে স্থানীয় ভাবে এখনও কোনও যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়নি উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ে বোর্ড থেকে পুনরায় নির্দেশ না আসা পর্যন্ত স্থানীয় ভাবে কোনও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করবে না বলেও জানিয়েছেন ভট্টাচার্য।
কোভিড-১৯-এর ভয়াবহতার প্রতি লক্ষ্য রেখে সমগ্র দেশ জুড়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ। তবে ২০০ টি বিশেষ ট্রেন চালাচ্ছে রেল বিভাগ। যার মধ্যে রয়েছে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন।