নয়াদিল্লি, ১১ জুন (হি. স.): এ যেন নিরন্তন পথ চলা। সেই পথের যেন কোনও শেষ নেই। ঠিক এমনটাই অবস্থা হয়েছে বিহারের পরিযায়ী শ্রমিকদের। লকডাউনের সময় পঞ্জাব এবং দিল্লি থেকে নিজ রাজ্য বিহারে চলে আসে তারা। কিন্তু এখানে কর্মসংস্থানের কোনও সুযোগ না পেয়ে ফের ভগ্ন হৃদয় নিয়ে উত্তর ভারতের পঞ্জাব ও দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকের দল।এই সকল শ্রমিকদের উত্তর ভারতের এই দুই রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষ ট্রেন চালানোর বন্দোবস্ত করেছে ভারতীয় রেল।গোটা দেশজুড়ে চলছে আনলক ওয়ান। ফলে করোনা কাঁটা সত্ত্বেও অনেকটাই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে এসেছে জনজীবন।নিজের কর্মক্ষেত্র ফিরে যেতে উদগ্রীব তারা।
সহরসা থেকে বেগুসারাই, বারাউনি, সমস্তিপুর, মুজাফফরপুর হয়ে নয়াদিল্লিগামী বৈশালী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এখন এই সকল শ্রমিকদের প্রধান ভরসা হয়ে গিয়েছে। এই সকল শ্রমিকরা মনে করছে যে করোনা বিধ্বস্ত দিল্লিতে গিয়ে তাদের ফের জুটে যাবে কাজ। বর্তমানে পঞ্জাবে এখন ফসল কাটার মৌসুম চলছে।এই ক্ষেত্রে বিহারী শ্রমিকদের একটা চাহিদা রয়েছে। সেই চাহিদাকেই কাজে লাগাতে চাইছে এই সকল পরিযায়ী শ্রমিকেরা। গতবছর স্বাভাবিক সময় ফসল কাটার জন্য প্রত্যেক শ্রমিককে দৈনিক ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছিল।কিন্তু করোনার জেরে শ্রমিকের পরিমাণ কম থাকায় দৈনিক ৮০০ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মালিকপক্ষ। পাশাপাশি ট্রেনের টিকিটের দাম এবং যাত্রাপথে খাবারের ব্যবস্থা মালিকপক্ষই করে দেবে। ফলে এই সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ বিহার রাজ্যের শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা ৫২ মিনিট নাগাদ বারাউনি জংশন স্টেশনের ৫ নম্বর প্লাটফর্ম থেকে বৈশালি সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।শ্রমিকের সংখ্যা চোখে পড়ার মতো। থার্মাল স্ক্যানিং এর পরই তাদের ট্রেনে তোলা হয়।