মেঘালয়ের পশ্চিম গারোপাহাড়ে বিপুল পরিমাণের আগ্নেয়াস্ত্র, সেনাপোশাক সহ গ্ৰেফতার তিন

দক্ষিণ শালমার (অসম), ৩ জুন (হি.স.) : অসমের সীমান্তবর্তী মেঘালয়ের পশ্চিম গারোপাহাড় জেলার টিক্ৰিকিল্লা থানা এলাকার গাপতলিতে অভিযান চালিয়ে তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করে তাদের হেফাজত থেকে বিপুল পরিমাণের আগ্নেয়াস্ত্র ও সেনাপোশাক উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গত সোমবার সন্ধ্যার দিকে ডাকাতের এক দলকে অসমের সীমান্তবর্তী মেঘালয়ের গাপতলি গ্রামে ঘোরাঘুরি করতে দেখে স্থানীয় বেসরকারি এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সংস্থার কর্মকর্তারা বিষয়টি স্থানীয় টিক্রিকিল্লা থানার পুলিশকে অবগত করেন। খবরের ভিত্তিতে গতকাল পুলিশের সশস্ত্র এক দল গাপতলি গ্রামে অভিযান চালিয়ে দুই যুবককে আটক করে। তাদের অন্য সঙ্গীরা পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে ফেরার হয়ে যায়। ধৃত দুই যুবককে নিম্ন অসমের ধুবড়ি জেলার চতলারপাড় গ্রামের আখিরুল ইসলাম এবং শালবাড়ি গ্রামের মাজিদুল হুসেন বলে পরিচয় পাওয়া গেছে। 

এদিকে ধৃত দুই যুবককে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে ম্যারাথন জেরা চালিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে ধুবড়ি জেলার দক্ষিণ শালমারা বিধানসভা এলাকার মলাকান্দি গ্রামের নুর জামাল নামের আরও এক যুবককে গ্ৰেফতার করে পুলিশ।

তিন যুবডাকাত পুলিশি জেরায় স্বীকার করেছে, তারা অঞ্চলের বিভিন্ন গৃহস্থের ঘরে ডাকাতি, রাজপথে গাড়িতে ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ ইত্যাদি কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে গাপতলি গ্রামের শুকনো এক জলাশয়ে কচুরিপানার নীচ থেকে একটি বিশাল বড় প্লাস্টিকের ব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ব্যাগ থেকে বের হয় বিপুল পরিমাণের আগ্নেয়াস্ত্র ও সেনাপোশাক। আজ বুধবার গ্রেফতার তিন যুবককে আদালতে পেশ করা হয়। আদালত তিনজনকে টিক্ৰিকিল্লা পুলিশের হেফাজতে পাঠিয়েছে।

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, অসমের, বিশেষ করে দক্ষিণ শালমারা-মানকাচর জেলা থেকে গুয়াহাটি সহ দেশের যে কোনও স্থানে যাতায়াত করতে হলে মেঘালয়ের পশ্চিম গারোপাহাড় জেলার হেলিডেগঞ্জ, ফুলবাড়ি, টিক্ৰিকিল্লা থানা এলাকাকে স্পর্শ করতে হয়। এ ক্ষেত্ৰে টিক্ৰিকিল্লার গাপতলিকে পাহাড়ি এলাকা হওয়ার সুযোগ নিয়ে একটি দুষ্কৃতীচক্ৰ দীৰ্ঘদিন ধরে অসমের নাগরিকদের অপহরণ, ডাকাতির পাশাপাশি অসমে চলাচলকারি নৈশ বাস সহ বিভিন্ন যাত্ৰীবাহী গাড়িতে লুটপাট করে আসছে। অতিসম্প্রতি সুখচর থানা এলাকার চরকাঁসারিপাড় গ্রামের দুই গাড়ি মালিককে অপহরণ করেছিল দুষ্কৃতীরা। পরে প্ৰায় তিন লক্ষ টাকা দিয়ে তাদের খপ্পর থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন তাঁরা।