নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২ জুন৷৷ বর্তমান সময়ে সমগ্র বিশ্ব কোভিড-১৯ এবং অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন৷ জনসংখ্যার বিশালতার কারণে ভারতবর্ষও আজ কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছে৷ এই সমস্যা থেকে উত্তরণে সরকার, জনগণ ও সংবাদমাধ্যমকে একযোগে কাজ করতে হবে৷ আজ মঙ্গলবার সরকারি বাসভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন ত্রিপুরার উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা৷ তাঁর দাবি, দেশের উন্নয়ন পাঁচটি স্তম্ভের উপর নির্ভর করছে৷ অর্থনীতি, পরিকাঠামো, পদ্ধতি, জনবিন্যাস এবং চাহিদা ও সরবরাহের উপর উন্নয়নের ভিত দাঁড়িয়ে রয়েছে৷
এদিন তিনি বলেন, দেশের বিরাট অংশের মানুষ কৃষি ও দৈনিক কাজের সাথে যুক্ত৷ কোভিড-১৯-এর জন্য উদ্ভূত পরিস্থিতির ফলে কাজ ও খাদ্যের যোগানের যাতে অভাব না হয় সেদিকে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বিশেষ লক্ষ্য রাখছে৷ বর্তমান পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় সরকার ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে৷
তাঁর কথায়, নগদ অর্থ প্রদান কোনও সমস্যার স্থায়ী সমাধান হতে পারে না৷ তাই একে ত্রাণ প্যাকেজ হিসেবে দেখা উচিত হবে না৷ তিনি বলেন, সরকার এই আর্থিক প্যাকেজের মাধ্যমে দেশের সার্বিক পরিকাঠামোগত উন্নয়নে সচেষ্ট হয়েছে৷ দেশের এমএসএমই-এর বিকাশে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে৷ এক্ষেত্রে রাজ্যেও ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তার জন্য অর্থ দফতরে হেল্প ডেস্ক খোলা হবে৷ তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে সক্ষম হয়েছেন৷ এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ জনধন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ব্যাঙ্কিং পরিষেবাকে সাধারণ মানুষের নাগালে নিয়ে আসা৷
উপমুখ্যমন্ত্রীর মতে, এই সময়ে দেশের উন্নতিতে প্রয়োজন সঠিক দৃষ্টিভঙ্গির৷ এখানে স্লোগানের কোনও স্থান নেই৷ কোভিড-১৯-এর এই কঠিন ও দীর্ঘ চ্যালেঞ্জ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মহামন্ত্র ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ সবকা বিশ্বাস’-এর মাধ্যমে কাটিয়ে ওঠা যাবে৷ তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এই কঠিন সময়ে সমস্ত রাষ্ট্র এক হয়ে সমস্যার সমাধান করতে পারবে৷
উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রত্যেকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন৷ এর মাধ্যমেই বোঝা যায়, বর্তমানে দেশে যুক্তরাষ্ট্রীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা শক্তিশালী রয়েছে৷ ত্রিপুরায় কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, উদ্বেগের কিছু নেই৷ কোভিড-১৯-এর মোকাবিলায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে৷ রাজ্যের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু রাখতেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ তাঁর আবেদন, বাড়িতে একান্তবাস দৃঢ়ভাবে পালন করতে হবে৷ বাড়ির বাইরে বেরোলেই মুখে মাস্ক পড়তে হবে৷ সামাজিক দূরত্বও বজায় রাখতে হবে৷

