BRAKING NEWS

বাঙালি হিন্দুর ‘সর্বনাশ ও বিলুপ্তি‘ আসন্ন, তথাগত রায়ের মন্তব্যে প্রবল প্রতিক্রিয়া

কলকাতা, ৩১ মে (হি. স.):বাঙালি হিন্দুর ‘আসন্ন সর্বনাশ ও বিলুপ্তির কথা ভেবে কম্পিত হচ্ছি’। এই মন্তব্য করেছেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপি-র প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায়। রবিবার তাঁর এই ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে প্রবল প্রতিক্রিয়া হয়। প্রথম এক ঘন্টায় উত্তর দেন ২৬ জন।লাইক পড়ে শতাধিচক। তথাগতবাবু লিখেছেন, “লকডাউনের রবিবার সকালে কিছু চিন্তা। আমি খুব বিশ্বস্তসূত্রে খবর পাচ্ছি বাংলাদেশের যুবসম্প্রদায়ের একটা বড় অংশ ইসলামী মৌলবাদের দিকে ঝুঁকছে। সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে ভোটব্যাংক রাজনীতির জন্য মোল্লা-তোল্লা তো আছেই। পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক অস্ত্রকারখানা আবিষ্কার; বড় করিমের মতো সন্ত্রাসবাদী ধরা পড়া ইত্যাদি আগামী দিনে বাঙালি হিন্দুর সমূহ বিপদেরই ইঙ্গিত দেয়।এর মধ্যে সামান্য আশার আলো দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু যুবকদের চৈতন্য উদয়ের মধ্যে।কিন্তু সেখানেও বিপদ, কারণ বাঙালি হিন্দুদের নেতৃত্ব দেবার মতো স্বচ্ছ্ব চিন্তার নেতা কেউ নেই। যাঁরা আছেন তাঁরা বহুধা বিভক্ত, চিন্তার স্বচ্ছ্বতার অভাব এবং তা রূপায়নের ক্ষমতার অভাব।   

বাংলায় যে বিবেকানন্দ শ্যামাপ্রসাদের কথা বলে, হিন্দু কেন বিপদগ্রস্ত তা বুঝিয়ে সমর্থন চাইতে হবে, গোমূত্র গোচোনার, হনুমানজির কথা বলে নয়, এই উপলব্ধিটাই অনেকের। অপরপক্ষে মাদ্রাসাগোষ্ঠী দৃঢসংঘবদ্ধ, একমুখী এবং মধ্যপ্রাচ্যের তেলের টাকায় বলীয়ান| অতএব কি যে হবে আমার মাথায় আসছে না – বাঙালি হিন্দুর আসন্ন সর্বনাশ ও বিলুপ্তির কথা ভেবে কম্পিত হওয়া ছাড়া। ব্যক্তিগতভাবে আমার একটাই সান্ত্বনা, হতে হতে হয়তো আমার ওপারের ডাক এসে যাবে। কিন্তু বসে বসে সর্বনাশ দেখাও যথেষ্ট কষ্ট। ” প্রতিক্রিয়ায় অসীম রায় রাজপুত লিখেছেন, “স্যার আমরা মুশিদাবাদে দিন দিন লক্ষ্য করছি সামাজিক অর্থনৈতিক ভাবে শান্তির লোকদের উপর নির্ভর হয়ে পড়ছি. মুশিদাবাদে আর পাঁচ বছর ঠিক থাকবো তার পর কোনও কুড়ো ঘরে।

“সুব্রত বসু লিখেছেন, “এর কারণ শিক্ষিত হিন্দু সমাজ কোদালকে কোদাল বলতে ভয় পায়, সাম্প্রদায়িক বলে চিহ্নিত হবার ভয়ে।মজার ব্যাপার এই দাগিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটা তার নিজের লোকেরাই করবে। ফলে তার অস্তিত্বের সংকট দেখা দেবে।এই ভয় কিন্তু মুসলিম সমাজে নেই।”বাবাই কানরার লিখেছেন,” খুব খাঁটি কথা লিখেছেন স্যার।”আমার বাংলা আজ খুঁজছে এমন একজন নেতৃত্ব, যে কিনা আজকের যুবদের নতুন দিশা দেখাবে। আশা রাখছি আগামী দিন অন্ধকার না আলোকময় হবে সবার বাংলার। ” পিকে রায় লিখেছেন,” বড় স‌ংবেদশশীল অনুভূতি। আমাদের‌ও অনেকের এক‌ই ভাবনা। অন্তস্থ: শক্তির ও সাধনার কাজ থেমে নেই। মাতৃকৃপায় উত্তরণের আলো আসবেই। “শ্যাম সুন্দর লিখেছেন, ”বঙ্গের যুবকেরা নতুন কিছু দিশার পথে অগ্রসর হতে চাইলেও, একালীন বিপর্যস্ত সমাজ তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে চায়। চৈতন্যের উদয় আসলেও অকালে অস্ত যাচ্ছে পরিস্থিতির অসভ্য চাপে।”অর্ণব ভট্টাচার্য লিখেছেন,” ঘুমন্ত ব্যক্তিকে জাগিয়ে তোলা যায় কিন্তু যারা ঘুমের ভান করে আছে তাদের জাগানো মুশকিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *