নয়াদিল্লি, ২৮ মে (হি. স.): পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে চাওয়া যাবে না ট্রেন এবং বাসের ভাড়া। বৃহস্পতিবার তা স্পষ্ট জানিয়ে দিল দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। পরিযায়ী শ্রমিকদের খাবার এবং পানীয় জল সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারকে সরবরাহ করতে হবে। পাশাপাশি ট্রেনের টিকিটের ভাড়াও রাজ্য সরকারকে দিতে হবে।ট্রেন ছাড়ার সময়সূচী আগে থেকে শ্রমিকদের জানাতে হবে।পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্ভোগ নিয়ে কেন্দ্র এবং প্রতিটি রাজ্য সরকারকে ৫ জুনের মধ্যে জবাব দিতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছেন, ট্রেন যে রাজ্য থেকে ছাড়বে সেই রাজ্যের দায়িত্বে থাকবে পরিযায়ী শ্রমিকদের খাবার এবং পানীয় জল সরবরাহ করার। ট্রেনের মধ্যে খাবার সরবরাহ করার দায়িত্ব রেলের বাসে যে সব পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফিরছেন তাদের জন্য খাবার ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে হবে।পরিযায়ী শ্রমিকদের চিহ্নিতকরণের করে রেজিস্ট্রেশনের কাজ রাজ্য সরকারকে করতে হবে। এই সকল শ্রমিকরা বাসে না ট্রেনে বাড়ি ফিরবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত রাজ্যকে নিতে হবে।দ্রুততার সাথেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাজ্যকে। পায়ে হেঁটে যে সকল শ্রমিক বাড়ি ফিরছেন তাদেরকে অবিলম্বে আশ্রয়স্থলে নিয়ে যেতে হবে। সেখানে তাদের জন্য খাবার ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে হবে।
রেলের উদ্দেশ্যে আদালতের নির্দেশ রাজ্য সরকারগুলি যখনই ট্রেনের দাবি করবে তৎক্ষণাৎ সেই দাবি পূরণ করতে হবে। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য দেশের শীর্ষ আদালত যে চিন্তিত তা স্পষ্ট করে দিয়ে প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে স্টেটাস রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। রাজ্যগুলি যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা পর্যাপ্ত নয়।কেন্দ্র ও রাজ্য গুলোর কাছে আদালত জানতে চেয়েছে কতজন এমন পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছে যারা বাড়ি ফিরতে চাইছে। আদালত পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে যে রেজিস্ট্রেশন এর পরও পরিযায়ী শ্রমিকদের খাবার এবং পানীয় জল সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পেতে অসুবিধা হচ্ছে।
আদালতকে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, ট্রেনের ভাড়া নিয়ে প্রথমে একটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা ট্রেনে উঠবে সেই রাজ্যকে এই ভাড়া দিতে হবে বা যেই রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকরা যাবে তাদের ভাড়া দিতে হবে। কিন্তু কোনোভাবেই পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে ভাড়া নেওয়া হবে না। এই সকল শ্রমজীবী মানুষদের জন্য কেন্দ্র সরকার ৩৭০০ ট্রেন চালিয়েছে। প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক নিজ গ্রামে ফিরে যেতে পেরেছে। প্রতিদিন ১ লক্ষ ৮৫ হাজার শ্রমিককে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।