নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ মে৷৷ সোনামুড়া-দাউদকান্দি নৌপরিবহণ চুক্তি সম্পন্ন হওয়ায় বিজেপির ত্রিপুরা প্রদেশ কমিটি দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে অভিনন্দন জানিয়েছে৷ শনিবার আগরতলায় বিজেপির প্রদেশ সদর কার্যালয়ের সামনে এ উপলক্ষে এক অভিনন্দন সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আয়োজিত অভিনন্দন সভায় বিজেপির প্রদেশ সভাপতি ডাঃ মানিক সাহা সহ অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন৷ প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে প্রত্যেকেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন৷
আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে বিজেপির প্রদেশ সভাপতি ডা. মানিক সাহা বলেন, ত্রিপুরায় জাহাজের আগমন এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র৷ তাতে ত্রিপুরাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ণ পূরণ হতে চলেছে৷ তাঁর কথায়, নদীপথ ব্যবহার করে ত্রিপুরায় আসবে জাহাজ৷ ত্রিপুরাবাসীর এই স্বপ্ণ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রীর যৌথ প্রচেষ্টায় সফল হতে চলেছে৷ অবশ্য, এক্ষেত্রে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের প্রয়াসের প্রশংসাও করেছেন বিজেপি প্রদেশ সভাপতি৷
তিনি বলেন, এই নৌ-পরিবহণ চুক্তি সত্যিই ঐতিহাসিক৷ এই চুক্তির ফলে ত্রিপুরার অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটবে৷ তাঁর দাবি, স্বপ্ণ দেখলে তা যে বাস্তবায়িত হয় নৌ-পরিবহণ চুক্তির সফল বাস্তবায়ন তা-ই প্রমাণিত করেছে৷ তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর নিরলস প্রচেষ্টার ফলেই তা সম্ভব হয়েছে৷ এরই ফলশ্রুতিতে ত্রিপুরা উজ্জ্বল বাণিজ্য ক্ষেত্রে সাফল্যের মুখ দেখবে৷ এদিন তিনি তথ্য দিয়ে বলেন, জাহাজ আশুগঞ্জ থেকে মেঘনা ও গোমতি নদী পার হয়ে শ্রীমন্তপুর এসে পৌঁছাবে৷ প্রথম ছোট জাহাজ এবং পড়ে নব্যতা বাড়িয়ে বড় জাহাজ আসবে বলে তিনি দাবি করেছেন৷
ডা. মানিক সাহার কথায়, বাংলাদেশ নদী পথ ব্যবহার করে ত্রিপুরায় পণ্য সামগ্রী আসলে পরিবহণ খরচ অনেক কমবে৷ তাতে ত্রিপুরা বাণিজ্য ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি৷ শুধু তা-ই নয়, ত্রিপুরা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্যিক করিডোরে পরিণত হবে৷