BRAKING NEWS

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যনির্বাহী বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদে দায়িত্ব নিলেন ডঃ হর্ষ বর্ধন

নয়াদিল্লি, ২২ মে (হি. স.) : কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যনির্বাহী বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। শুক্রবার সংস্থার অনুষ্ঠিত ১৪৭ তম কার্যনির্বাহী বোর্ড সভায় তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এদিনই তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি জাপানের ডাঃ হিরোকি নাকাতানির স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। গত ১৮–১৯ মে ৭৩তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সভায় ভারতকে ৩৪ সদস্যের কার্যনির্বাহী বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। সেই থেকে ডাঃ হর্ষ বর্ধনের প্রতিনিধিত্ব শক্তিশালী হয়ে উঠে বলে মনে হচ্ছিল।

ডঃ হর্ষ বর্ধন শুক্রবার কার্যনির্বাহী বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়ে সম্মানিত করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান। এই উপলক্ষে তিনি সমস্ত সদস্য দেশগুলির সাথে করোনা মোকাবিলায় সামনের সারির যোদ্ধা, স্বাস্থ্যকর্মী এবং চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এদিন তিনি সকল সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, করোনা রোগটি মানবজীবনে এক দুঃখজনক অধ্যায় এবং আগামী দুই দশকে এ জাতীয় আরো অনেক চ্যালেঞ্জ-র মোকাবিলা করতে হবে। তাঁর কথায়, ওই সমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সুনির্দিষ্ট প্রচেষ্টার দরকার। এই  মহামারী স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ত্রুটিগুলি এবং প্রস্তুতি-তে উপেক্ষা করার ফলাফলগুলি সম্পর্কে আমাদের অবগত করেছে। তাঁর দাবি, বৈশ্বিক সঙ্কটের সময়ে ঝুঁকি মোকাবিলার বিভিন্ন উপায় ভাগ করে নেওয়ার সাথে অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করার প্রয়োজন হবে।

করোনার সংক্রমণ মোকাবেলায় ভারত সফল

দেশে করোনার মোকাবেলা করার ব্যবস্থা বর্ণনা করে তিনি বলেন, ভারতে ১৩৫ কোটি জনসংখ্যায় এক লাখেরও বেশি করোনার মামলা রয়েছে এবং মৃত্যুর হার তিন শতাংশ। যদিও সুস্থ হওয়ার হার ৪১ শতাংশ এবং করোনা আক্রান্তের হার দ্বিগুণ হতে ১৩ দিন সময় নিচ্ছে। তাঁর কথায়, সময়ে সময়ে করোনার মোকাবেলায় ভারত পদক্ষেপ নিয়েছে এবং সংক্রমণের গতি থামাতে সক্ষম হয়েছে। তিনি আশ্বস্থ করে বলেন, সদস্য দেশ এবং সংস্থার অংশীদাররা সকলের স্বার্থ বিবেচনায় রেখে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সংস্কারকে জোরদার করতে এবং টেকসই উন্নয়ন-কে ত্বরান্বিত করতে সহযোগিতা করবে।

ডাঃ হর্ষ বর্ধন-র দাবি, সুস্বাস্থ্য অর্জন প্রতিটি মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার, ডব্লিউএইচও  এই নীতিতে বিশ্বাস করে, যা প্রত্যেককেই কোনও বৈষম্য ছাড়াই পাওয়া উচিত। তবে তা যে কোনও বর্ণ, ধর্ম, রাজনৈতিক বিশ্বাস, অর্থনৈতিক বা সামাজিক অবস্থানের সাথে সম্পর্কিত হোক। তাই, সমস্ত সদস্য দেশকে একসঙ্গে কাজ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া উচিত, প্রত্যয়ের সাথে বলেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *