নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ মে৷৷ সংবিধান মেনেই রাজ্যপালের হাতে এডিসি-র ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়েছে৷ কারণ, করোনা-র প্রকোপে নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি৷ ফলে, ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদের (টিটিএএডিসি) মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে৷ আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ-কথা জানালেন ত্রিপুরার উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা৷ তাঁর দাবি, এডিসি-র উন্নয়নকে আরও ত্বরান্বিত করার জন্য এই পদক্ষেপ ইতিবাচক ভূমিকা নেবে৷
এদিন তিনি বলেন, রাজ্যপালের হাতে এডিসি-র ক্ষমতা হস্তান্তর এবং প্রশাসক নিযুক্তির সমস্ত প্রক্রিয়া সংবিধান মেনে করা হয়েছে৷ তাঁর কথায়, সারা বিশ্ব এখন করোনা-র বিরুদ্ধে লড়াই করছে৷ আমাদের রাজ্যেই একই লড়াইয়ে শামিল হয়েছে৷ ফলে, এখন নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব নয়৷
তাঁর মতে, নির্বাচন না হওয়ায় এডিসি এলাকায় উন্নয়ন থেমে থাকুক, সেটা কোনওভাবেই উচিত হবে না৷ তাই, সংবিধান মেনে এডিসি-র উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ জারি রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ তাঁর দাবি, এডিসি-র ক্ষমতা রাজ্যপালের হাতে হস্তান্তরের সাথে সাথেই প্রশাসক নিযুক্ত করা হয়েছে৷ রাজ্যপাল জিকে রাও-কে এডিসি-র প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত করেছেন৷ এতে এডিসি-র কাজকর্ম থেমে থাকবে না৷
তিনি বলেন, ছয় মাসের জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে৷ এর মধ্যেই নির্বাচনের চেষ্টা করা হবে৷ তবে, সমস্ত কিছু করোনা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে৷ তাঁর দাবি, ত্রিপুরা সরকার এডিসি-কে সমস্তভাবে সহায়তা করছে৷ ১২টি পিছিয়ে পরা ব্লকে রেগা কার্ড হোল্ডারদের মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে ৫০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে৷ এতে ৪ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে৷
উপমুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এডিসি-র উন্নয়নে নির্দিষ্ট রূপরেখা খুব শীঘ্রই তৈরি করা হবে৷ তাতে, এডিসি এলাকার বাসিন্দারা উপকৃত হবেন৷ তিনি বিদ্রুপ করে বলেন, অতীতে এডিসি-র উন্নয়নে অনেক ভাষণ, প্রতিশ্রুতি শুনেছি৷ কিন্তু বাস্তবে তাঁর প্রতিফলন দেখা যায়নি৷ এখন ত্রিপুরা সরকার এডিসি-র উন্নয়নে প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে যাবে৷ তাতে জনজাতিদের ইতিবাচক সুফল মিলবে, দাবি করেন তিনি৷