BRAKING NEWS

ডিব্ৰুগড়ে স্ত্ৰী, ছেলে-সহ তিনজনের খুনি এসএসবি-র প্রাক্তন জওয়ান ধরাশায়ী এনকাউন্টারে

ডিব্ৰুগড় (অসম), ১৯ মে (হি.স.) : উজান অসমের ডিব্ৰুগড়ে স্ত্ৰী, ছেলে ও মামার খুনি এসএসবি-র প্রাক্তন জওয়ান সঞ্জয় দাসের মৃত্যু হয়েছে ক্রসফায়ার-এনকাউন্টারে। মঙ্গলবার ভোররাত প্ৰায় তিনটে নাগাদ পুলিশের সঙ্গে ক্রসফায়ারে সঞ্জয়ের মৃত্যু হয়েছে। নিহত খুনি সঞ্জয়ের বাড়ি ডিব্ৰুগড়ের শুকান পুখুরি এলাকায়। বাড়ি থেকে প্ৰায় ৫০০ মিটার দূরে পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে। একটি পরিত্যক্ত ঘরে লুকিয়ে ছিল সঞ্জয়।

পুলিশের জনৈক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, গতকাল সোমবার সঞ্জয় দাস তার লাইসেন্সড বন্দুক দিয়ে স্ত্ৰী স্বপ্না দাস, ছেলে নবজ্যোতি দাস এবং মামা ঘনকান্ত হাজরিকাকে গুলি করে হত্যা করে। ডিব্রগড়ে অসম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ স্ত্ৰী স্বপ্না দাসের মৃত্যু হয়। ছেলে এবং মামাকেও ভরতি করা হয়েছিল অসম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু করার কিছুক্ষণ পর তারা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

পুলিশ অফিসার জানান, সঞ্জয় দাস সাইকো-কিলার। স্ত্রী পুত্র ও মামাকে গুলি করে খুন করার পর তাকে পাকড়াও করতে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। এর মধ্যে গোপন খবরের ভিত্তিতে গতকাল রাত বারোটায়  পুলিশ ব্যাটালিয়নের এক দল নিয়ে শুকান পুখুরি এলাকায় মৎস্য বিভাগের একটি পরিত্যক্ত ঘর ঘেরাও করেছিলেন তিনি। ওই ঘরে সঞ্জয় আত্মগোপন করেছিল। তাকে আত্মসমর্পণ করতে বার বার আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু আচমকা পুলিশ দলকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে সে। জবাব দিতে পুলিশও পজিশন নেয়। প্রায় তিন ঘণ্টা চলে গুলি বিনিময়। অবশেষে রাত তিনটে নাগাদ পুলিশের গুলিতে বিদ্ধ হয়ে ধরাশায়ী হয় সঞ্জয়।

অফিসার বলেন, তাকে তাঁরা জীবিত অবস্থায় ধরতে বহু চেষ্টা করেছিলেন। জানতে চেয়েছিলেন কী কারণে সে তার স্ত্রী পুত্র ও মামাকে খুন করেছে। তিনি বলেন, জুয়া ও মদে আসক্ত থাকায় পরিবারের সঙ্গে তার অশান্তি ছিল বলে ধারণা করছেন তাঁরা। এজন্যই সম্ভবত এই খুনোখুনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *