BRAKING NEWS

১৯৬৪ জন পরিযায়ী শ্রমিককে নিয়ে জিরানীয়া থেকে বিহারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিল ট্রেন

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ মে৷৷ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে সমগ্র দেশে লক ডাউন চলছে৷ এই লক ডাউনের ফলে রাজ্যের বহু বাসিন্দা যেমন বহিঃরাজ্যে আটকে পড়েছে, তেমনি বহিঃরাজ্যের বহু পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্যে আটকে পড়েছে৷ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন পাওয়ার পরই রাজ্যে সরকার বহিঃরাজ্যে আটকে পড়া রাজ্যের বাসিন্দাদের যেমন ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেছে, তেমনি রাজ্যে আটকে পড়া বহিঃরাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজ নিজ রাজ্যে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে৷


সেই মোতাবেক রবিবার পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী জিরানিয়া রেল স্টেশন থেকে ১ হাজার ৯৬৪ জনকে নিয়ে ২২ বগির একটি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন বিহারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে৷ এই ট্রেনটি পৌঁছাবে বিহারের খাড়ারিয়া৷ জনপ্রতি খরচ হবে ৬০০ টাকা৷ এই টাকা প্রদান করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে৷ এইদিন সকাল থেকে নিজ রাজ্যে ফিরে যাওয়ার জন্য জিরানিয়া রেল স্টেশনে ভিড় জমাতে থাকে পরিযায়ী শ্রমিকরা৷ তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগে থেকেই সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়৷ পশ্চিম জেলার জেলা শাসক সন্দীপ এন মাহাত্মে, জিরানিয়া মহকুমার মহকুমা শাসক সুভাষ দত্ত সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা এইদিন জিরানিয়া রেল স্টেশনে উপস্থিত থেকে সকল ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখেন৷ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেনে উঠানো হয়৷


তবে তার আগে সকল যাত্রীর থার্মাল স্কিনিং করা হয়৷ যাদের কাছে মাস্ক ছিলনা তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় মাস্ক৷ পশ্চিম জেলার জেলা শাসক সন্দীপ এন মাহাত্মে জানান রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের তাদের নিজ নিজ রাজ্যে পাঠানো হবে৷ তার জন্য রেল মন্ত্রকের সাথে কথা বলে স্পেশাল শ্রমিক ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ এইদিন প্রথম শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন রাজ্য থেকে রওয়ানা হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে ১ কোটি ৬ লক্ষ টাকা পাওয়া গেছে৷ সেখান থেকে প্রায় ৩৩ লক্ষ টাকা ব্যয় করে তিনটি ট্রেন বুকিং করা হয়েছে৷


এইদিনের ট্রেনে করে ১ হাজার ৯৬৪ জন যাত্রী নিজ রাজ্যের উদ্দেশ্যে যাচ্ছে৷ তার মধ্যে ৩৭৫ জন রয়েছে শিশু৷ সকলকে খাবার ও জলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে৷ জিরানিয়া রেল স্টেশন থেকে রওয়ানা হওয়া ট্রেনটি লামডিং গিয়ে দারাবে৷ সেখানে রেল দপ্তরের পক্ষ থেকে সকলের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ পশ্চিম জেলার জেলা শাসক আরও জানান বাকি পরিযায়ী শ্রমিকদেরকেও পর্যায়ক্রমে নিজ নিজ রাজ্যে পাঠানো হবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *