BRAKING NEWS

কর্ণাটকে আটক নাগরিকদের নিয়ে বিশেষ ট্রেন পৌঁছল আগরতলায়

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৩ মে৷৷ লকডাউনের জেরে কর্ণাটকে আটকে থাকা ত্রিপুরার নাগরিকদের নিয়ে বিশেষ ট্রেন বুধবার বিকেলে আগরতলায় এসে পৌঁছেছে৷ আগরতলা স্টেশনে পৌঁছানোর আগেই যাত্রীদের মধ্যে তুমুল উন্মাদনার সৃষ্টি হয়৷ বেশ কিছু কামরার যাত্রীরা চিৎকার করে তাঁদের আনন্দ খুশি ব্যক্ত করেছেন৷ দুর্যোগ কাটিয়ে ঘরে ফেরার আনন্দ হয়তো তারা ধরে রাখতে পারছিলেন না৷ আজ ওই যাত্রীদের মধ্যে ২৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে৷ তাদের সকলকেই বাড়িতে একান্তবাসে পাঠানো হয়েছে৷


এদিকে, রেলওয়ে এবং ত্রিপুরা প্রশাসনের তরফে তাদের জন্য বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে৷ ট্রেন স্টেশনে ঢুকে গেলেও অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত যাত্রীরা কামরার ভেতরেই বসে ছিলেন৷ স্টেশনে তাঁরা পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে কিভাবে দাঁড়াবেন এবং তাদের স্ক্রিনিং কীভাবে হবে সমস্ত কিছুর ব্যবস্থা ছিল৷
পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক নিজে দাঁড়িয়ে সমস্ত কিছুর তদারকি করছেন৷ প্রশাসন সুত্রের খবর, আরও ঘণ্টা তিনেক সময় লাগবে সকল যাত্রীর স্ক্রিনিং সম্পন্ন হতে৷ এরই সাথে তাদের থাকার বিষয়েও ব্যবস্থা করা হবে৷ কর্ণাটক থেকে আগত ত্রিপুরার নাগরিকদের জন্য বেশ কয়েকটি একান্তবাস কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে৷ জানা গেছে, আজ কর্ণাটক থেকে ১,১৪৯ জন যাত্রী নিয়ে এই বিশেষ ট্রেন এসেছে৷ পথে কিছু বিলম্ব হয়েছে৷ ত্রিপুরার এই সকল নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে ট্রেনের ভাড়া রাজ্য সরকার মিটিয়েছে৷


গতকাল জেলা ও মহকুমা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা আগরতলা রেল স্টেশন পরিদর্শন করেছেন৷ সমস্ত প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেছেন তাঁরা৷ প্রশাসন সূত্রের খবর, আজ এই ট্রেনের সমস্ত বগি একসাথে খোলা হয়নি৷ এক এক করে কামরার দরজা খোলা হয়েছে৷ ওই সব কামরার যাত্রীদের স্ক্রিনিং সমাপ্ত হলে পর্যায়ক্রমে বাকি কামরা খোলা হয়েছে৷ পশ্চিম ত্রিপুরার জেলাশাসক বলেন, সমস্ত নিয়ম এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কর্ণাটক ফেরত ত্রিপুরার নাগরিকদের ট্রেন থেকে একান্তবাসে পাঠানোর ব্যবস্থা হয়েছে৷ তিনি বলেন, যাত্রা শুরু হওয়ার আগেও তাঁদের স্ক্রিনিং হয়েছে৷ কিন্তু আগরতলায় আবারও তাঁদের স্ক্রিনিং হয়েছে৷ কারণ, কোনও ঝুঁকি নেওয়া সম্ভব নয়৷ স্টেশনে স্বাস্থ্য দফতরের প্রয়োজনীয় কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন৷ সাথে পর্যাপ্ত পুলিশ কর্মীও মোতায়েন করা হয়েছে৷
স্টেশনে অপেক্ষারত জনৈক যাত্রীর পরিবারের সদস্য বলেন, কর্ণাটকে দীর্ঘ দিন আটকে থাকার পর ছেলের আজ বাড়ি ফেরা সম্ভব হয়েছে৷ তার জন্য তিনি ত্রিপুরা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন৷


এদিন শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, কর্ণাটক থেকে রাজ্যে ফিরে আসা ট্রেনযাত্রীদের জন্য দশটি টিম স্টেশনে উপস্থিত ছিল৷ নমুনা সংগ্রহের ১২টি কেন্দ্র বসানো হয়েছিল৷ এছাড়া তিনজন স্বাস্থ্য আধিকারীক উপস্থিত ছিলেন৷ স্টেশনেই দুইটি এম্বুলেন্স দাঁড় করে রাখা হয়েছিল৷ তিনি জানান, ওই ট্রেনে ২২টি বগিতে যাত্রীরা এসেছেন৷ প্রত্যেক বগিতে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে সর্বোচ্চ ৫৪জন যাত্রীকে বসার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *