নয়াদিল্লি, ১৩ মে (হি.স.): করোনা সঙ্কটকালে দেশকে আত্মনির্ভর হওয়ার বার্তা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন। এই বিষয়ে সরব বিরোধীরা। বুধবার বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী যে আত্মনির্ভরতার কথা বলেছেন, তা বহু দশক আগে বলে গিয়েছিলেন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু ও জহরলাল নেহেরু।তারও আগে আত্মনির্ভরতার কথা বলে গিয়েছিলেন মহাত্মা গান্ধী ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তারই ফলস্বরূপ প্ল্যানিং কমিশন গড়ে উঠেছিল আজ সাত বছর পর প্রধানমন্ত্রীর মনে হয়েছে দেশকে আত্মনির্ভর করে তোলা প্রয়োজন। লোকাল থেকে গ্লোবালের যে কথা প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তার সাফল্য নিয়ে সন্দিহান প্রদিপবাবু। পাশাপশি আর্থিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর কোয়ান্টাম জাম্প সার্বিক পরিকাঠামো উন্নয়ন ছাড়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
এসইউসিআই নেতা অমিতাভ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, হাতে মাইক নিয়ে বাণী বিতরণ করে গিয়েছেন প্ৰধানমন্ত্রী। দেশবাসীর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নিজের ভাষণে যা বলেছেন তা শুনতে খুব ভাল। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা মুখ থুবরে পড়ে। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ থেকে কথার ফুলঝুরি ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায়নি।
দেশবাসীকে বিশ্ব ভাবনার যে আহ্বান প্রধানমন্ত্রী করেছেন সে সম্পর্কে বলতে গিয়ে অমিতাভ বাবু বলেন দেশের মানুষ খেতে পাচ্ছে না। পরিযায়ী শ্রমিকদের অবস্থা দুর্বিষহ। এই দৃশ্য দেখে নিজেকে ঠিক রাখা যায় না। সেখানে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ আরো সদর্থক হওয়া উচিত ছিল।
বর্ষীয়ান সিপিআইএম নেতা মহম্মদ সেলিম নিজের টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, রাষ্ট্রায়াত্ত সংস্থাগুলির মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়ে রাত আটটার সময় প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভর বলছেন। আদতে তিনি রিলায়েন্স এবং নিজের দিকেই বেশি মনোনিবেশ করেছেন। প্ৰধানমন্ত্রীর এই আত্মনির্ভরতার ধারণা যে নেহেরুর থেকে নেওয়া তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন বর্ষীয়ান এই বাম নেতা।