BRAKING NEWS

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি-রফতানি সচল রাখতে চালু হচ্ছে পার্সেল স্পেশাল ট্রেন

ঢাকা, ৬ মে (হি. স.) : বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি-রফতানি সচল রাখতে মালবাহী রেলের পাশাপাশি পার্সেল স্পেশাল ট্রেন চালু করতে চলেছে রেল । এই ব্যাপারে ভারতের পক্ষ থেকে সম্মতি দেওয়া হয়েছে। কীভাবে এই ট্রেন চালানো যায় সে ব্যাপারে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ে অধিদপ্তর এবং রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক হবে। ইতিমধ্যে বুধবার থেকে ভারত বিশেষ ব্যবস্থায় পিঁয়াজ রফতানির জন্য পার্সেল ট্রেনে লোড করা শুরু হয়েছে।

বাণিজ্য ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।গত ২৭ এপ্রিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশের সাথে স্বাভাবিক আমাদানি-রফতানি চালুকরার জন্য নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। ২১ মার্চ থেকে বন্ধ থাকার পর ১মে থেকে সিমিত আকার চালু হয়ে ছিল আমদানি-রফতানি। কিন্তু ৩ মে সুরক্ষা ও করোনার ঝুঁকির অজুহাত দেখিয়ে পশ্চিমবঙ্গের যশোর রোডে বনগাঁ থেকে পেট্টাপোল বন্দর পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে ভারতীয় নারী পুরুষ ও শ্রমিকেরা। এরপর থেকে বেনাপোল-পেট্টপোল থেকে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে।ভারতের সাথে পিঁয়াজ, রশুন, আদা, মশলা ফলমূলসহ শিল্পকারখানার অতি জরুরি কাঁচামাল আমদানি-রফতানি সচল রাখতে ৪ মে ভারতীয় হাইকমিশন ভিডিও কনর্ফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের রেলপথ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্য বৈঠক করে।

নিজ নিজ অফিসে থেকে এ ভিডিও কনর্ফারেন্সে হাইকমিশন ও বাংলাদেশের রেল, বাণিজ্য ও রাজস্ব বোর্ড পার্সেল স্পেশাল ট্রেন চালানোর ব্যাপারে এম মত পোষণ করেন।এক্ষেত্রে সীমান্ত স্টেশনে চালক ও গার্ড ইঞ্জিনের সাথে মালবাহী ওয়াগন ও পার্সেল স্পেশাল ট্রেন নিয়ে যেতে পরবেন। ইঞ্জিন পরিবর্তন করে র‌্যাক খুলে নেয়ার জন্য দুই ঘন্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারবেন। তবে করোনা সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে এ-সময় উভয় দেশের ড্রাইভার ও গার্ড কেউ স্টেশনে নামতে পারবেন না। বর্তমানে ভারতের সাথে বিরল-রাধিকাপুর, দর্শণা-গেদে, বেনাপোল-পেট্রাপোল ও রহনপুর-সিঙ্গাবাদ রুটে মালবাহী ট্রেন চলাচল করছে।করোনর প্রদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় গত ২৬ মার্চ থেকে বাংলাদেশের সাথে অনির্দিষ্টকালের জন্য সবধরনের পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছিল ভারত। এর আগে ১৫ মার্চ থেকে ভারতের সাথে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয় উভয় দেশ। বেনাপোল বন্দরের পাট ও গম বীজ আমদানি কারক উৎস্য ইন্টার প্রাইজের পরিচালক উজ্জল কুমার বলেন, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার বাংলাদেশের ট্রাক নিয়ে চালককে ভারতে ডুকতে দিচ্ছে না।

তবে পার্সেল স্পেশাল যাওয়া-আসা বাড়ানো হলে সমস্যা অনেকাংশে সমাধান হবে।৪ মে’র ভিডিও কনর্ফারেন্সে ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাস, সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডেও চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রনব কুমার ঘোষ, রেলওয়ে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মিয়াজাহান, অতিরিক্ত পরিচালক (মার্কেটিং) মালিকান্ত ঘোঘ, ছাড়াও ভারতীয় হাইকমিশন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, রাজস্ব বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যোগ দিয়ে ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *