জুমিয়াদের বীজ ও আর্থিক সহায়তা, নতুন প্রকল্পে মন্ত্রিসভার অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ এপ্রিল৷৷ লকডাউন-এ জুমিয়াদের সহায়তায় ত্রিপুরা সরকার নতুন প্রকল্প এনেছে৷ ত্রিপুরায় ৬,৯৭৯ জুমিয়া পরিবারকে চাষাবাদের জন্য বীজ এবং আর্থিক সহায়তার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ত্রিপুরা সরকার৷ মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রিসভা এই প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে৷ প্রায় ১১ বছর পর জুমিয়ারা সরকারের তরফে ফের বীজ পাবেন৷ শুধু তা-ই নয়, জুমচাষে বীজ রোপণ, আগাছা পরিষ্কার এবং ফসল তোলার জন্য প্রত্যেক জুমিয়াকে ৬ শ্রমদিবসের অর্থ সরাসরি অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে৷
এ-বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে জুম চাষ সাহায্য প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে৷ ওই প্রকল্পের অন্তর্গত জুমিয়াদের বীজ এবং আর্থিকভাবে সহায়তা করা হবে৷ তাঁর কথায়, প্রায় ১১ বছর আগে এডিসি-র পক্ষ থেকে জুমিয়াদের বীজ দেওয়া হতো৷ কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে এখন তা বন্ধ৷


তিনি বলেন, করোনা-র প্রকোপে লকডাউন চলাকালীন জুমিয়ারাও সমস্যায় পড়েছেন৷ তাঁদের কাছে বীজ নেই, তাই তাঁরা চাষ করতে পারছেন না৷ তাঁর কথায়, জুম চাষের এখনই সঠিক সময়৷ ফলে, ত্রিপুরা সরকার তাঁদের সহায়তার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷


মন্ত্রী নাথ জানান, ৬,৯৭৯ জুমিয়া পরিবারকে ১৫ মেট্রিক টন বীজ সরবরাহ করা হবে৷ তাতে প্রত্যেক জুমিয়া পরিবার পাবে ২,১৫০ গ্রাম বীজ৷ ওই বীজ সরবরাহে ত্রিপুরা সরকারের খরচ হবে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা৷ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জুমিয়াদের জুমচাষে বীজ রোপণ, আগাছা পরিষ্কার এবং ফসল তোলার জন্য ২ শ্রমদিবস করে মোট ৬ শ্রমদিবসের টাকা সরাসরি তাদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে৷ তাতে ত্রিপুরার কোষাগার থেকে ব্যয় হবে ৮৪ লক্ষ ৫৮ হাজার ৫৪৮ টাকা৷ তাঁর কথায়, প্রত্যেক জুমিয়া ১,২১২ টাকা করে পাবেন৷