BRAKING NEWS

অরুণাচলে যথেষ্ট পরিমাণের খাদ্য সামগ্ৰী মজুত, ‘খাদ্যাভাবে’ শঙ্খচূড় সাপ মেরে খাওয়ার অভিযোগ নস্যাৎ সরকারের

ইটানগর (অরুণাচল প্রদেশ), ২৩ এপ্রিল (হি.স.) : শঙ্খচূড় সাপ মেরে খাওয়ার ঘটনা প্ৰকাশ্যে আসার পর নড়েচড়ে বসেছে অরুণাচল প্রদেশ সরকার। এ ঘটনা খাদ্যাভাবের জন্য সংগঠিত হয়েছে বলে অস্বীকার করছে রাজ্য সরকার। বলা হয়েছে অরুণাচল প্রদেশের সব কয়টি জেলায় আগামী তিন মাস অবধি চলার মতো খাদ্য সামগ্ৰী মজুত রয়েছে। তাই খাদ্যের সন্ধানে জঙ্গলে গিয়ে শঙ্খচূড়ের মতো সাপ মেরে খাওয়ার ঘটনাকে নিন্দা করেছে সরকার।

প্ৰসঙ্গত, মহামারি কোভিড-১৯ সংক্ৰমণ ঠেকাতে গত ২৪ মাৰ্চ মধ্যরাত থেকে সারা দেশে চলছে লকডাউন। ফলে সমস্যায় পড়েছেন তৃণমূল পৰ্যায়ের সাধারণ মানুষ। লকডাউনের মধ্যে খেতে না পেয়ে গত সপ্তাহে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্য়থম পাহাড়ি রাজ্য অরুণাচল প্ৰদেশের তিন যুবক বিরল প্ৰজাতির প্রাপ্তবয়স্ক বিশাল আকারের একটি শঙ্খচূড় সাপকে মেরে তার মাংস খাওয়ার ঘটনা এসেছিল। ভিডিও ক্লিপিং-সহ ঘটনাটি রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে নানা মহলে তীব্ৰ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তার পরই নড়েচড়ে বসে অরুণাচল প্ৰদেশ সরকার।

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্টীকরণ দিয়ে বলা হয়েছে, অরুণাচলের সবকয়টি জেলায় তিন মাস অবধি চলার মতো যথেষ্ট পরিমাণের খাদ্য সামগ্ৰী মজুত রয়েছে। লকডাউন হওয়ার পর থেকে ভারতীয় বায়ুসেনা এন-৩২ এবং হেলিকপ্টার দিয়ে রাজ্যের প্ৰত্যন্ত অঞ্চলে চাল সমেত বিভিন্ন খাদ্যসামগ্ৰী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। অরুণাচল সরকারও এই ত্ৰাণ পৌঁছে দেওয়ার কাজে তাদের হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে।  

ভারতীয় খাদ্য নিগমে (এফসিআই)-এর তরফ থেকেও অরুণাচলের বিভিন্ন জেলার বাজারে বাজারে ১০০০ মেট্ৰিকটনেরও বেশি চাল বরাদ্দ করেছে। এছাড়া কেন্দ্ৰীয় সরকার প্ৰধানমন্ত্ৰী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার অধীনে ১২,০০০ মেট্রিকটনের বেশি খাদ্য ও খাদ্যশস্য বরাদ্দ করেছে। প্ৰধানমন্ত্ৰী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার অধীনে গোটা অরুণাচল প্ৰদেশে ৮,০০০ মেট্রিকটনের বেশি চাল গোটা রাজ্যে এগুলো সরবরাহ করা হয়েছে। রাজ্যে ১০০ মেট্ৰিক টন আলু এবং ৬০ মেট্ৰিক টন ডাল মজুত করে রাখা হয়েছে যাতে প্ৰয়োজনে তা বাজারে সরবরাহ করা যেতে পারে। লকডাউনের ফলে যাঁরা অসুবিধায় পড়েছেন সেই সমস্ত দরিদ্ৰ পরিবারগুলিকে বিনামূল্যে রেশনের খাদ্য সামগ্ৰী দেওয়া হচ্ছে।

লকডাউন জারির পর থেকে রাজ্যের প্ৰায় ২০ হাজার মানুষ বিনামূল্যে রেশনের খাদ্যসামগ্ৰী পেয়েছেন বলে সরকারের তরফ থেকে স্পষ্টীকরণ করা হয়েছে। এছাড়া কোভিড-১৯ সংক্ৰান্ত যে কোনও ধরনের তথ্যের জন্য ২৪ ঘণ্টা সরকারি কৰ্মকৰ্তারা রয়েছেন বলে অরুণাচল সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *