নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ এপ্রিল৷৷ লকডাউনজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য এ বছর ত্রিপুরায় প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠরত সকল ছাত্রছাত্রীকে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ শনিবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, একাদশ শ্রেণির সকল ছাত্রছাত্রীও পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবে৷ সোশিওলোজি, স্ট্যাটিসটিক্স এবং মিউজিক বিষয়ের যে তিনটি পরীক্ষা হয়নি সে পরীক্ষাগুলি আর নেওয়া হবে না৷ তাঁর কথায়, ছাত্রছাত্রীদের ষাণ্মাসিক পরীক্ষার ভিত্তিতে ওই তিনটি বিষয়ের নম্বরের মূল্যায়ন হবে৷ এদিকে, ত্রিপুরা জয়েন্টের পরীক্ষা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে৷
এদিন শিক্ষামন্ত্রী জানান, আগামী ২৪ এপ্রিল থেকে আগরতলায় ১৩টি কেন্দ্রে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখার কাজ শুরু হবে৷ ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ গৃহীত মাধ্যমিক এবং দ্বাদশের উত্তরপত্র আগরতলায় এসে পৌঁছেছে৷ যে সকল বিষয়ের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে সেই সব বিষয়ের উত্তরপত্র দেখার কাজ শুরু হচ্ছে৷
শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, সকল ছাত্রছাত্রীদের উত্তীর্ণ সংক্রান্ত ঘোষণা হলেও তাদের নম্বরের মূল্যায়ন দফতরে নথিবদ্ধ হবে৷ এজন্য সংশ্লিষ্ট জেলা শিক্ষা আধিকারিকদের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকদের বলা হয়েছে যাতে প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর নম্বর শিক্ষা দফতরের অ্যাপের মাধ্যমে আপলোড করা হয়৷ তিনি আরও জানান, রাজ্যের ১৪টি ক্যাবল চ্যানেলে আগামীকাল (রবিবার) থেকে নির্দিষ্ট রুটিন অনুসারে ক্লাস শুরু হবে৷ প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ছাত্রছাত্রীরা ঘরে বসেই ক্লাস করতে পারবে৷ তিনি বলেন, রাজ্যের ২২টি সাধারণ ডিগ্রি কলেজ এবং ৭টি টেকনিক্যাল কলেজে ইতিমধ্যেই অনলাইন ক্লাস শুরু হয়েছে৷ এমবিবি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস চলছে৷
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় এবং চতুর্থ সেমিস্টারের পরীক্ষার বিষয়ে শিক্ষা দফতরের আধিকারিকগণ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবেন৷ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ-বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন৷ শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, ২২ এবং ২৩ এপ্রিল পূর্ব নির্ধারিত ত্রিপুরা জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে৷ পরবর্তীতে সময়সূচি জানিয়ে দেওয়া হবে৷