নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৫ এপ্রিল৷৷ রাজধানী আগরতলা শহরের মঠ চৌমুহনি এলাকায় এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের গৃহবধূ বুধবার ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেছেন৷ আত্মঘাতী গৃহবধূর নাম প্রণতি সিনহা৷ তাঁর স্বামী সঞ্জয় সিনহা কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে কর্মরত৷ আত্মহত্যার কারণ নিয়ে ধন্ধে পড়েছে পুলিশ৷ পারিবারিক কোনও কলহ ছিল না বলে দাবি করা হয়েছে৷ এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷
পুলিশ জানিয়েছে, রাজেন সিনহার পুত্রবধূ প্রণতি সিনহা বুধবার সকাল নাগাদ বসতঘরেই ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেন৷ এই ঘটনার বড়জোর আধা ঘণ্টা আগে পুত্রবধূর সঙ্গে শ্বশুর রাজেন সিনহার কথা হয়েছে৷ সকাল থেকে পারিবারিক কাজকর্মও করেছেন তিনি৷ বাড়িতে কোনও ধরনের কলহ ছিল না বলে দাবি পরিবারের৷
এদিকে মৃতার স্বামী সঞ্জয় সিনহা কর্মসূত্রে শান্তিরবাজারে থাকেন৷ তিনি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক শান্তিরবাজার শাখায় কর্মরত৷ তাঁর বাবা রাজেন সিনহা জানিয়েছেন, লকডাউনের আগে শেষবারের মতো পুত্র সঞ্জয় সিনহা বাড়িতে এসেছিলেন৷ তার পর পুনরায় কর্মস্থলে ফিরে গেছেন৷ লকডাউন চলায় আর বাড়িতে আসতে পারেননি৷ তাঁদের আড়াই বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে৷
এরই মধ্যে বুধবার সকালে প্রণতির আত্মহত্যাকে ঘিরে শ্বশুর-শাশুড়ি সহ আত্মীয়পরিজনরা রীতিমতো বিস্মিত৷ কেউই তাঁর এই আত্মহত্যার কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না৷ গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজনরাও ঘটনায় রীতিমতো হতবাক৷ কেননা প্রণতিকে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনরা খুবই আদর করতেন৷ কোনওদিন সাংসারিক ঝামেলা ছিল না৷ সুখি পরিবারে কেন আত্মহত্যার ঘটনা ঘটলো তা নিয়ে নানা প্রশ্ণ উঠছে৷
ঘটনার খবর পেয়ে পূর্ব মহিলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়৷ সেখান থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷
মোহনপুর বাজারের সাহাপাড়ায় এক যুবক নিজ ঘরে ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেছে৷ মৃতের নাম তন্ময় সাহা৷ সে আগরতলায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করত৷ লকডাউনের কারণে বিগত কয়েকদিনে সে বাড়িতে যায়৷ এরই মধ্যে আত্মহত্যার ঘটনা ঘিরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷
জানা যায়, তার মা-বাবা অসুস্থ৷ গতকাল রাতে মা-বাবার সঙ্গে একসাথেই খাওয়া-দাওয়া করে তার ঘরে ঘুমোতে যায়৷ বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত দরজা না খোলায় মা-বাবার মনে সন্দেহ জাগে৷ প্রতিবেশিরা এসে ঘরের জানালা ভেঙে দেখতে পান তন্ময়ের ঝুলন্ত মৃতদেহ৷ খবর পাঠানো হয় সিধাই থানায়৷ সিধাই থানার পুলিশ এসে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় মোহনপুর হাসপাতালে৷
ময়না তদন্তের পর মৃতদেহটি পরিবারের লোকজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে৷ যুবকের আত্মহত্যা গিরে এলাকার জনমনে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷ আত্মহত্যার সঠিক কারণ জানা যায়নি৷

