নিজস্ব প্রতিনিধি, শান্তিরবাজার/আগরতলা, ১২ এপ্রিল৷৷ লকডাউন যেমন একাংশ মানুষ মানছেন না তেমনি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টিও কার্যত উপেক্ষিতই থাকছে৷ চৈত্র সংক্রান্ত ও পয়লা বৈশাখের প্রস্তুতিতে কিছু অত্যুৎসাহী মানুষ গা ভাসিয়ে দিয়েছে৷ করোনা মোকাবিলায় সরকার যতটা কঠোর হচ্ছে ততই কিছু মানুষ কোনভাবেই সামাজিক দূরত্ব মানছেন না৷ সাপ্তাহিক হাটবার বাজার থেকে সরিয় মাঠে ময়দানে করা হচ্ছে ঠিকই কিন্তু ক্রেতা বিক্রেতাদের সিংহভাগই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছে না৷ এমনই চিত্র দেখা গিয়েছে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার শান্তিরবাজারে রবিবার৷
প্রসঙ্গত, সমগ্র বিশ্বজুরে চলছে করুনা ভাইরাসের মহামারি৷ এই মহামারি থেকে সকলে রক্ষার জন্য কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকার প্রতিনিয়ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ এই মহামারি থেকে সকলকে রক্ষার জন্য সমগ্র দেশ জুড়ে লকডাউন প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে৷ আজ ছিল রবিবার৷ আজ শান্তিরবাজার ও জোলাইবাড়ী ছিলো সাপ্তাহিক হাটবার৷ এরই মধ্যে চৈত্র সংক্রান্তির বাজার করতে মাতোয়ারা হয়ে আছে ক্রেতা বিক্রেতারা৷ বিশেষ করে জোলাইবাড়ী বাজারে সকলে লকডাউনকে উপেক্ষা করে কোনো প্রকার সামাজিক দুরত্ব বজায় না রেখেই কিনা কাটায় মগ্ণ হয়ের য়েছেন৷ সকালবেলা আরক্ষা প্রসাশনের কাউকে মাঠের আশেপাশে দেখা যায়নি৷ অবশেষে বেলা আটটায় আরক্ষা প্রসাশনের লোকজন বাজারে যান৷ কিন্তু দেখা যায় লোকজন কাউকে তোয়াক্কা না করেই নিজ খেয়াল খুশিমতো চলছে৷
অপরদিকে বাজারে ক্রেতাদের ভির দেখে কিছু সংখ্যক অসাধু ব্যাবসায়ী নিজ খেয়ালখুশি মতো জিনিষপত্র ও শাক শব্জীর দাম বাড়িয়ে দেন৷ এতে করে কর্মহীন লোকজনেরা জিনিষপত্র ক্রয় করতে বিশেষ অসুবিধার সন্মুখিন হতে হচ্ছে৷ অতিরিক্ত মূল্যের পরও চৈত্র সংক্রান্তির পালন করার জন্য সকলে নিজ নিজ সাধ্যমতো জিনিষপত্র ক্রয় করেছেন৷ এরইমধ্যে সামনে আসছে পয়লা বৈশাখ৷ এই পয়লা বৈশাখকে কেন্দ্র করে মাংস ব্যাবসায়ীরা এখন থেকেই মাংস মজুত করা শুরু করে দিয়েছে৷ জানা যায় বছরের প্রথম দিনে চড়া দামে বিক্রি করা হবে৷ যদি চড়া দামে বিক্রি করা হয় তাহলে কর্মহীন খেটেখাওয়া লোকজনদের আর পয়লা বৈশাখ পালন করা হবেনা৷ মাছ, মাংসের মূল্য নির্ধারনে ও পয়লা বৈশাখেরদিন বাজারে ভীড় নিয়ন্ত্রনে মহকুমা প্রসাশনের বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে বলে দাবি অভিজ্ঞ মহলের৷ এখন দেখার বিষয় এই বিষয়ে প্রসাশন কি প্রকার পদক্ষেপ গ্রহন করেন৷
এদিকে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সমগ্র দেশের পাশাপাশি রাজ্যেও লকডাউন জারি রয়েছে৷ কারণ করোনা ভাইরাস থেকে বাচার একমাত্র উপায় হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা৷ কিন্তু একাংশ মানুষ প্রায় প্রতিদিন লক ডাউনকে উপেক্ষা করে বিনা প্রয়োজনে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন৷ এই পরিস্থিতিতে অন্যান্য দিনের ন্যায় রবিবারও আরক্ষা প্রশাসনকে রাস্তায় নামতে হয়৷ রাজ্যের সবচেয়ে বেশি ব্যস্ততম শহর আগরতলা৷ লকডাউনের কারণে যদিও আগের ন্যায় শহরে তেমন একটা লোকের ভিড় লক্ষ্য করা যায় না৷ তবে যাদের বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে তারা বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন৷
তবে প্রতিদিনই রাজধানীতে হাতে গোনা কিছু লোক বিনা প্রয়োজনে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছে৷ তারা মানছে না লকডাউন৷ তাই এইদিন খোদ পশ্চিম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে আগরতলা শহরের বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি চালায় পুলিশ৷ যারা এইদিন বিনা প্রয়োজনে রাস্তায় বেরিয়েছে তাদেরকে আটক করেছে পুলিশ৷ মূলত করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আরক্ষা প্রশাসনকে এইদিন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়৷