করিমগঞ্জ (অসম), ২ এপ্রিল (হি.স.) : করোনা ভাইরাসের জেরে ত্রস্ত গোটা বিশ্ব। বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের চেয়েও বড় সংকটের মুখে সমগ্র বিশ্ব। মানব সভ্যতাকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছে কোভিড-১৯ মারণ ভাইরাস। এ থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। তাই সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে লকডাউন আইন মেনে ঘরে থাকার আহ্বান জানান এআইইউডিএফ-এর করিমগঞ্জ জেলা সভাপতি আজিজুর রহমান তালুকদার। যে যেখানে আছেন সেখানেই অবস্হান করুন। মহামারি করোনাকেও যারা ধর্মের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলতে চাইছে তারা মানুষ রূপে জানোয়ার বলে মন্তব্য করেছেন আজিজুর রহমান তালুকদার।
মিজোরাম প্রবাসী কিছু সংখ্যক মানুষ লায়লাপুরে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। সেখানকার অব্যবস্হার অভিযোগ তুলেও সরব হয়েছেন তালুকদার। যে সকল স্থানে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেই সব জায়গার অসুবিধাগুলো পর্যবেক্ষণ করতে দলের পক্ষ থেকে বিশেষ তদারকি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পরই দলের প্রধান বদরউদ্দিন আজমলের সহায়তা পৌঁছানো হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন আজিজুর রহমান তালুকদার।
সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে এআইইউডিএফ-এর সুপ্রিমো মওলানা বদরউদ্দিন আজমল আল কাছিমী দুর্গতদের সহায়তায় সক্রিয় রয়েছেন বলে সংবাদ মাধ্যামের সামনে দাবি করেন জেলা সভাপতি আজিজুর রহমান তালুকদার। তিনি জানান, করিম উদ্দিন বড়ভুইয়াঁকে প্রধান পর্যবেক্ষক করে আজমলের পক্ষ থেকে বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভাগাবাজারের কোয়ারেন্টাইনে অবস্থানরত মানুষের সুবিধা অসুবিধার রিপোর্ট সংগ্রহ করার পর, যে ধরনের সহায়তার প্রয়োজন হবে, বদরউদ্দিন আজমলের পক্ষ থেকে তা করা হবে। সরকারি ভাবে শুধু নিরাপত্তা জোরদার করা হলেও করোনা থেকে বাঁচার উপযোগী পর্যাপ্ত ব্যবস্হা না থাকার অভিযোগ তুলে সরকারকে দায়ী করেছেন আজিজুর রহমান তালুকদার।
তালুকদার বলেন, সতর্কতামূলক যেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা, সেখানে কার্যত মানুষকে খাঁচাবন্দি করে রাখা হয়েছে। শীঘ্রই পৃথক পৃথক ভাবে অবস্থানরত মানুষজনের বাঁচার উপযোগী শৌচালয় স্নানাগার ইত্যাদির বড় পরিসরের শিবিরের ব্যবস্হা করা না হলে সুস্হরা অসুস্হ হয়ে পড়বেন বলে দাবি তুলে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন আজিজুর রহমান তালুকদার। কোনও অবস্হায় বাড়ি মুখো না হয়ে যে যেখানে আছেন সেখানেই অব্স্হান করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন এআইইউডিএফ-এর করিমগঞ্জ জেলা সভাপতি আজিজুর রহমান তালুকদার।