ক্ৰমশ সুস্থ হয়ে উঠছেন মণিপুরের করোনা আক্ৰান্ত চিকিৎসক-তরুণী

ইমফল (মণিপুর), ২৮ মার্চ (হি.স.) : চিকিৎসায় সাড়া দিয়ে ক্রমশ সুস্থ হয়ে উঠছেন মণিপুরের ২৩ বছর বয়সি করোনা-আক্ৰান্ত মেডিক্যাল-গবেষক তরুণী। গোটা উত্তর-পূৰ্বাঞ্চলে এই তরুণীর শরীরেই প্ৰথম করোনা ভাইরাস পজিটিভ ধরা পড়েছিল। তিনি বর্তমানে স্থানীয় দ্যা জওহরলাল নেহরু ইনসস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (জেএনআইএমএস)-এর আইসোলেশন ওয়াৰ্ডে চিকিৎসাধীন।

রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী এল জয়ন্তকুমার এই খবর দিয়ে জানিয়েছেন, মণিপুরে প্ৰথম করোনা আক্ৰান্তের খবর চাউর হতে গোটা রাজ্যে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ফলে অসম-সহ পাৰ্শ্ববৰ্তী রাজ্যগুলিতে লাল সতৰ্কতা জারি করা হয়। মণিপুরে করোনা মোকাবিলায় হাজার মানুষের চিকিৎসার জন্য প্ৰস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জয়ন্তকুমার।  

প্রসঙ্গত, গত ২১ মার্চ পশ্চিম ইমফল জেলার বাসিন্দা যুবতীটি রাজ্যে এসেছিলেন। তিনি ক্যানসারের ওপর গবেষণা করছিলেন লন্ডনের ব্রিসাল ইউনিভার্সিটিতে। তিনি একজন মেডিক্যাল-গবেষক। কয়েকদিন ধরে তিনি জ্বরের উপসর্গে ভুগছিলেন। কিন্তু প্যারাসেটামল খেয়ে বিপত্তি নিজেই বাড়িয়েছিলেন। জ্বর নিয়েই আটলান্টা-ফেরত ভাইকে সঙ্গে নিয়ে সেদিন এশিয়ার আই৫-৫০১ নম্বরের বিমানে রাজ্যে ফিরেছেন তিনি।

মিজোরামে আরও একজন করোনায় আক্ৰান্ত রোগী ধরা পড়েছিলেন। তিনি ৫০ বছর বয়সের একজন যাজক। গত ১৬ মাৰ্চ তিনি পরিবারের সঙ্গে হল্যান্ডের আমস্টারডাম থেকে স্বরাজ্যে ফিরেছিলেন। ২২ মাৰ্চ করোনার উপসৰ্গ দেখা দিতে শুরু করে। তাঁর লালারসের নমুনা গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষা করা হলে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। বৰ্তমানে তাঁকে আইজলে অবস্থিত জোরাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা চলছে। তার পরিবারের প্ৰত্যেককেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।