করোনা : অসমের হিল সেকশনের কোনও স্টেশনে নেই চিকিৎসক দল

হাফলং (অসম), ১৮ মার্চ (হি.স.) : সমগ্র বিশ্ব করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে কাঁপছে। প্রতিদিনই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ফলে গোটা দেশ এ মুহূর্তে করোনাকে নিয়ে আতঙ্কিত। এ থেকে বাদ নেই অসমের অন্যতম পার্বত্য জেলা ডিমা হাসাও। করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত পাহাড়ের মানুষ।

অসমে এখনও করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের কোনও খবর না থাকলেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রাজ্যে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শপিং মল, সিনেমা হল, ব্যায়ামাগার, সুইমিং পুল, ইত্যাদি গণ-সমাবেশস্থল ২৯ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সভা সমিতি ও লোক সমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে অসম সরকার।

অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা দেখে ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার রাজ্যের সব রেল স্টেশনে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে চিকিৎসকের দল নিয়োগ করার নির্দেশ জারি করেছে। ওই নির্দেশের পর ডিমা হাসাও জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের মধ্যে এ নিয়ে কোনও হেলদোল নেই। ডিমা হাসাও জেলার নিউহাফলং-সহ কোনও স্টেশনেই স্বাস্থ্য বিভাগ কোনও চিকিৎসকের দল নিয়োগ করেনি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিনই বহু রেলযাত্রী আসছেন এই পাহাড়ি জেলায়। অথচ ট্রেন থেকে নামার পর এ সব যাত্রীর স্ক্রিনিং করার জন্য কোনও চিকিৎসকের দল নিয়োগ করা হয়নি রেল স্টেশনে।

বুধবার শিয়ালদহ থেকে আগরতলা অভিমুখী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে মালদার দুই যাত্রী প্রচণ্ড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের পক্ষ থেকে কন্ট্রোলের মাধ্যমে এই দুই রোগীকে চিকিৎসা করানোর জন্য এবং এঁদের স্ক্রিনিং করানোর কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসক না থাকায় নিউহাফলং স্টেশনে তাঁদের কোনও ধরনের পরীক্ষা করা ছাড়াই বদরপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা প্রত্যেক জেলায় স্বাস্থ্য বিভাগকে রেল স্টেশন ও বাস ডিপোয় চিকিৎসকের দল ও স্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগ করার নির্দেশ দেওয়ার পর ডিমা হাসাও জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ এ নিয়ে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ।

এদিকে করোনা ভাইরাস কোভিড ১৯-এর আতঙ্কে ডিমা হাসাও জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন জায়গায় সাপ্তাহিক হাট বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এর পর অবশ্য বাজার হাটে লোক সমাগম অনেকটা কমে গেছে। অন্যদিকে বুধবার করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে হাফলং শহর ও বাজারে জনগণের মধ্যে সজাগতা সৃষ্টি করতে ইন্ডিয়ান রেডক্রস সোসাইটি এক অভিযান চালায়। আগামী কয়েকদিন এভাবে রেডক্রসের সদস্যরা করোনা ভাইরাস নিয়ে শহর থেকে শুরু করে গ্রামঞ্চলে এই সজাগতা অভিযান চালাবেন বলে জানিয়েছেন রেডক্রস সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল সিং।